নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসির নতুন প্রস্তাবে নতুন কিছু টুর্নামেন্ট চালু করার কথা ভাবছে সংস্থাটি। মনে করা হচ্ছে, আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্যই নতুন এই সব টুর্নামেন্ট করার ভাবনা। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড মনে করছে, এটা আইসিসির দুরভিসন্ধি ছাড়া আর কিছু নয়। তাই আবারও সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে আইসিসি এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আইপিএলের প্রভাব কমানোর নানা আইসিসি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভারতীয় বোর্ডকর্তাদের অভিযোগ। ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্ট সব ঠিক হয়ে গেছে। এর মধ্যে যেমন ২০২০ সাল এবং ২০২১ সালে পরপর দুটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। কিন্তু সেই বিশ্বকাপের পর থেকে ২০২৩ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত নতুন টুর্নামেন্ট চালু করার কথা ভাবছে আইসিসি।
‘চ্যাম্পিয়নস কাপ’ নাম দিয়ে টি-টুয়েন্টি এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই সেরাদের নিয়ে নতুন টুর্নামেন্ট করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৪ এবং ২০২৮ সালে দু’বার টি-টুয়েন্টির চ্যাম্পিয়নস কাপ হবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়নস কাপ হবে ২০২৫ এবং ২০২৯ সালে। এর পাশাপাশি টি-টুয়েন্টি এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ যেমন চলছিল, চলবে। ২০২৬ এবং ২০৩০ সালে হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০২৭ এবং ২০৩১ সালে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
বিসিসিআইয়ের অনেকেই মনে করেন, সৌরভ গাঙ্গুলি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আইসিসির সঙ্গে ভবিষ্যতের ক্রিকেট সূচি নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আইসিসি প্রধান হিসেবে শশাঙ্ক মনোহর ভারতীয় হয়েও ভারতীয় বোর্ডের বিপক্ষে মনে করছেন তারা। সৌরভরা প্রথমেই বলে দেন, দ্বিপক্ষীয় সূচি আগে চূড়ান্ত হবে। তার পরে আইসিসি তাদের ইভেন্টের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ভারতীয় বোর্ডের অনেকেই মনে করছেন, আইপিএলের একচ্ছত্র আধিপত্য কমাতে মনোহরের নেতৃত্বে উঠে পড়ে লেগেছে আইসিসি কর্তারা। সেই কারণে তারা বিশ্ব স্তরে বেশি করে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং সাদা বলের ক্রিকেট যুক্ত করতে চান।
ভারতে যেমন আইপিএল হয়, তেমনই অস্ট্রেলিয়ায় হয় বিগ ব্যাশ। ইংল্যান্ডেও চালু হচ্ছে ‘হান্ড্রেড বল ক্রিকেট’। প্রত্যেক দলের ইনিংস হবে ১০০ বলের। তিন দেশের কর্তারা একমত, প্রত্যেকের ঘরোয়া ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আইসিসির ক্যালেন্ডার মেনে নিলে। ভারতীয় বোর্ডের কর্তারা চটেছেন যে, সূচি নিয়ে আপত্তি তোলার পরেও কী করে আইসিসি নতুন সব টুর্নামেন্ট করার কথা ভাবছে?
ভারতীয় বোর্ড কর্তারা অন্য দুই বড় ক্রিকেট শক্তি ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একজোট হয়ে আইসিসির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ এবং সচিব জয় শাহ ইংল্যান্ডে গিয়ে ত্রিশক্তির বৈঠকও করে এসেছেন। ভারতীয় বোর্ডের দাবি প্রত্যেক বছর একটি করে আইসিসি মেগা ইভেন্ট করা যাবে না।
কত খেলবে ক্রিকেটাররা? আর আইপিএলের মতো ঘরোয়া ইভেন্ট ক্ষতির মুখে পড়বে কেন? ভারতীয় কর্তাদের বক্তব্য, ‘বড় দেশগুলো যদি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে সই করতে রাজি না হয়, আইসিসি কী করে বাধ্য করবে? তখন এই সূচির কোনো মানেই থাকবে না।’ তার ওপর দুটি দেশ নিজেদের মধ্যে খেলে যে অর্থ তুলতে পারে, সেটাও ধাক্কা খাবে কারণ অতটা সময়ই পাওয়া যাবে না। কেউ কেউ আরও বলছেন, প্রত্যেক বছর হলে বিশ্বকাপের আকর্ষণটাই তো হারিয়ে যাবে। একটি বিশ্বকাপ জেতার পরে সকলে তাকিয়ে থাকে চার বছর পরে আবার বিশ্বকাপ হবে, সেখানে কাপ জিততে হবে। সেই ভাবনাটাই তো নষ্ট হয়ে যাবে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।