Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামের আলোয় বদলে যাওয়া ক্রিকেটের তারা

ক্রীড়াঙ্গণে ইসলাম

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:১৪ পিএম

 

পৃথিবীতে ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অনুগত। আবার অনেকেই আছেন যারা ধর্মীয় রিচ্যুয়েলস অর্থাৎ আচার-আচরণ, বিধিবিধান ও রীতিনীতি পালনে সদা তৎপর। তারা জীবনকে ধর্মের আলোকে চালিত করে। ধর্ম হচ্ছে এমন এক দর্শন ও বিশ্বাস যা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দেয়। হৃদয়ের অন্ধকারকে দূরে ঠেলে জ্যোতির্ময় করে তোলে মনপ্রাণ।

ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত ক্রিকেট মাঠের ১০ মুসলিম ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন। যারা কিনা ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারকে করেছেন সমুজ্জল। শুধুমাত্র ধর্মের পথে চলে ক্রিকেট মাঠের গজে একেকজন বনে গেছেন মহাতারকা।

১. সাইদ আনোয়ার : সাঈদ আনোয়ারকে শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের আদর্শ ভাবা হয়। মেয়ের মৃত্যুর পর শো’কে মু’হ্যমান এই এই ক্রিকেটার জীবনে প্রথমবার ধর্মের পথে শান্তির সন্ধান পেয়েছিলেন। তার পর থেকেই তাবলিগে জামাতের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে কাজ শুরু করেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছরই নিয়ম করে হাজির হন এই আইডল ব্যাটসম্যান।

২. মুহাম্মদ ইউসুফ : বোলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোনও ছাড় দেয়নি তার ব্যাট। যদিও পাকিস্তানের সবচেয়ে ভদ্র ও বিনয়ী ক্রিকেটার বলা হয় তাকে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ইউসুফ ইউহানা একসময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময় পার করেছেন। অবসর নেয়ার পর থেকে সক্রিয়ভাবে ধর্মপ্রচারের কাজে যুক্ত আছেন।

৩. হাশিম আমলা : তার মুখের সদা মৃদ্যু হাসিটা যেন ক্রিকেট বিশ্বের চোখে লেগে থাকে। আউট হলেও এতটুকু রেগে যান না। হেরে গেলেও না। হালের ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। তাকে বলা হয় প্রোটিয়াদের রানমেশিন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। কখনো রমজান মাসে খেলতে হলে রোজা রেখেই মাঠে নামেন তিনি। শুধুমাত্র ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের প্রধান স্পন্সর ‘ক্যা’সেল’ (মাদক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কোম্পানির লোগো গায়ে টি-শার্ট পরেন না।

৪. ইনজামাম-উল-হক : পাকিস্তান ক্রিকেটে তাকে বলা হয় ‘খুঁটি ব্যাটসম্যান’। একবার সেট হলে যার সামনে বাঘা বাঘা বোলাররাও হার মানতো। মুলতানের সুলতান খ্যাত পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই ব্যাটসম্যান এখন তাবলিগ জামাতের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ইসলাম প্রচারে রত।

৫. মইন আলী : বর্তমান ইংলিশ দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মইন আলীর পারফরমেন্স চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি ইসলাম ধর্মের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার দাঁড়িকে ইসলামের পরিচয় হিসেবে দেখি, আর ধর্ম আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কোরআন আমার জীবনবিধান।

৬. আদিল রশিদ : পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আদিল রাশিদ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন বেশ কিছুদিন ধরে। দলে স্থান লাভ ও অভিষেক হওয়ার পর তেমন কঠোর ইসলাম পালনকারী না হলেও সম্প্রতি ইসলামিক নিয়ম-কানুন মেনে নিজের জীবন পরিবর্তন করে নিয়েছেন। কোরআন তার জীবন পা’ল্টে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

৭. মুশতাক আহমেদ : পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার মুশতাক আহমেদ। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর পেশা হিসেবে কোচিং ও ইসলামিক ধ্যান-ধারণায় মনোনিবেশ করেছেন। তার ধারণা ইসলাম এবং ক্রিকেট তার জীবনকে বদলে দিয়েছে। সুতরাং ইসলামের অনুসরণ ভীষণ জরুরি।

৮. সাকলাইন মুশতাক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তানী এই গ্রেট তাবলিগের কাজে মনোনিবেশ করেছেন। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অফ স্পিনারের দাওয়াতে পাকিস্তানের উঠতি অনেক ক্রিকেটারের জীবন বদলে গেছে। তাদের মাঝে নৈতিকতাবোধ সৃষ্টিতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।

৯. ইমরান তাহির : বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়ার ইমরান তাহিরকে স্পিন জাদুকর বলা যেতে পারে। পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটারকে ধর্মাচারে উদ্ধু’ব্ধ করেছেন সতীর্থ হাশিম আমলা। নিজেকে কঠোরভাবে ইসলাম ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করার কারণে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হয়েছে বলেও মনে করেন তাহির।

১০. সোহরাওয়ার্দী শুভ : বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সোহরাওয়ার্দী শুভ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করার পর দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। সম্প্রতি দলের জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও বিভিন্ন দলের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। তিনি নিয়মিত কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করেন ও নামাজ আদায় করেন। তাবলিগের কাজেও সক্রিয় এই টাইগার তারকা।



 

Show all comments
  • Syed Hasan ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৪ এএম says : 0
    Era shobai amar priyo.Onnovabe bolte hoi ami oder fan.mone pore dubai te sharjah stadiume khela dekha kalin duhr, asr o magrib ernamaj ami Suhrawardy suvo shoho stadiumer vitorei poresi.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ