বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লাখ লাখ জাকেরান-আশেকান ও মুসুল্লীয়ানের বুকফাটা কান্না আর আহাজারী নিয়ে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে ৪ দিন ব্যাপী উরশ শরিফের সমাপ্তি ঘটেছে। এসময় গোটা দরবার শরিফ ও সন্নিহিত প্রায় ২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার শেষরাতে রহমতের সময়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, জিকির এবং মোরাকাবা ও বয়ানের পরে ফজরের নামাজে কয়েক লাখ মুসুল্লী অংশ নেন। এর পরে ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে দোয়া মোনাজাত এবং খতম শরিফ পাঠ করেন সকলে।
পুনরায় কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশ^ জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতের নিয়তে ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে আখেরী মোনাজাত অণুষ্ঠিত হয়। পীর ছাহেবের আধ্যাতিক উত্তরাধিকারী বড় ছাহেবজাদা আলহাজ খাজা মাহফুজুল হক মুজাদ্দেদী ছাহেবের নির্দেশে হাফেজ নোমানী ছাহেব উপস্থিত সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ফাতেহা শরিফ পাঠ শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এসময় লাখ লাখ জাকেরান ও আশেকান সহ মুসুল্লীয়ানগন বুকফাঁটা আহাজারী নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলÑআমীনের দরবারে পানাহ চান। প্রায় ৪০ মিনিটের এ দোয়া মোনাজাতে সকলেই মহান আল্লাহর দরবারে রহমত ও বরকত ভিক্ষা চেয়ে আর্জি জানান। এ মোনাজাতে সকলেই মনের নেক মকছুদ পুরনেরও দোয়া করেন।
ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম শণিবার থেকে ৪ দিন ব্যপী উরশ শরিফ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে মুলত শুক্রবার জুমার নামাজের মাধ্যমেই উরশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মূল কার্যক্রম শুরু হয় মাগরিব নামাজ থেকে। এবারো বিশ^ জাকের মঞ্জিলে এ উরশ শরিফে যোগদানের লক্ষে সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ জাকেরান ও আশেকান সহ বিশে^র অন্তত ৫০টি দেশ থেকে মুসুল্লীয়ানগন অংশ নেন। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা থেকেও বিপুল সংখ্যক জাকেরান ও আশেকান অংশগ্রহন করেন।
আপন পীর হজরত খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নির্দেশে বাংলা ১৩৫৪ সালে শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:)ছাহেব ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশী গ্রামে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হয়েছিলেন। সেদিন মাত্র সাড়ে ৬ টাকায় খেজুরের খোলের বেড়া ও ছনের ছাউনি দেয়া ঘর কিনে তিনি এ আটরশীতে ‘জাকের ক্যাম্প’ প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। কালের বিবর্তনে তা জাকের মঞ্জিল থেকে আজকের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল। সে পাক দরবারে প্রতিবছরই উরশ শরিফ ছাড়াও পীর ছাহেবের ফাতেহা শরিফে লক্ষ লক্ষ জাকেরান ও আশেকান সহ মুসুল্লীবৃন্দের সমাগম ঘটে থাকে।
মঙ্গলবার সকালে আখেরী মোনাজাতের পরে অংশ গ্রহনকারীগন বিদায়ী খানা খেয়ে দরবার শরিফ থেকে যার যার গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।