প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : আপনার জন্য ছেলের পাঠানো টাকা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ জায়েজ। যদি সে নামাজ না-ও পড়ে, মাঝেমধ্যে মদও পান করে। যদি আপনি তার উপার্জন হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান না হন, তাহলে নির্দ্বিধায় তার টাকা ব্যবহার করবেন। যদি তার কামাই হালাল-হারাম মিশ্রিত হয়, তাহলে আপনি হালাল অংশ থেকে নিচ্ছেন ভেবে তার টাকা নিন। নামাজের জন্য তাকে বলতে থাকুন, মদ পান না করার জন্যও নরম স্বরে উপদেশ দিন। দিল খুলে আল্লাহর নিকট তার সুমতির জন্য দোয়া করুন। চেষ্টা করুন, যেন সে সৎসঙ্গ গ্রহণ করে। পিতার দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন। দ্রুত না হোক, দু’দিন পর। আপনার দোয়া বৃথা যাবে না। কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকুন। অতীত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকুন। বিশেষ করে রোজা ও কোরআন তিলাওয়াত কবরকে আলোকিত রাখে। ওজু-গোসল ঠিকমতো না করলে কবরের আযাব হয়। এসব খেয়াল করে চলুন, ভালো আলেমের সঙ্গ ও উপদেশ নিয়ে চলতে থাকুন। ছেলেকে তার নাবালক অবস্থায় ইসলামি মূল্যবোধ শিক্ষা না দিয়ে থাকলে তার বর্তমান ভুলত্রু টির জন্য আপনাকেও কিছু গুনাহের দায় নিতে হবে। এ জন্য তওবা ও সংশোধনের ব্যবস্থা নিন। আর আপনি ছোটবেলা চেষ্টা করে থাকলে বর্তমানে আপনার আর কোনো গুনাহ হবে না। বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে তাদের গুনাহর দায় তারাই বহন করে থাকে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।