Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বারডেম চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে হত্যা অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইলের ফ্রেন্ডশীপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালকের রুম থেকে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক ডা. মোবারক করিমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের রুমের দরজা ভেঙ্গে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত ডা. মোবারক করিম (৩৪) ভোলা জেলার লালমহন উপজেলার বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সাত মাস আগে তিনি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।

নিহত মোবারক কমির স্ত্রীর চাচাতো ভাই মাইনুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাতুয়াইলের ফ্রেন্ডশীপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন তার বোনের স্বামী ডা. মোবারক করিমকে ডেকে নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে তার বোন মোবারকের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর থেকে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গতকাল সকালে ফ্রেন্ডশীপ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে ফোনে জানানো হয়, মোবারকের লাশ সেখানে পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, মোবারক করিম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক ছিলেন। তিনি সাত মাসে আগে বিয়ে করেছেন বলেও জানান তিনি।
ফ্রেন্ডশীপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের এমডি ডা. ফেরদৌস ইনকিলাবকে জানান, শুক্রবার সকালে হাসপাতালের পরিচালকের রুমের দরজা খুলতে গিয়ে ভেতর থেকে লক লাগানো পাওয়া যায়। পরে অনেক ধাক্কা-ধাক্কি করেও দরজা খুলা সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে মোবারকের লাশ উদ্ধার করে।

তবে কখন, কি কারণে মোবারক পরিচালক জামালের রুমে গেছেন সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
পরে ফ্রেন্ডশীপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ডেমরা থানার এসআই শাহ আলম জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফ্রেন্ডশীপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেনের রুমের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি রুমের জানালার সাথে তাওয়াল দিয়ে ঝুলানো ছিল। তবে পা মাটিতে লাগানো ছিল।

তিনি আরো জানান, হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন ও ডা. মোবারক করিম পূর্ব পরিচিত ছিল। তাই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জামালের কাছে আসছিলেন ডা. মোবারক। তবে জামাল হোসেনকে না পাওয়া পর্যন্ত আসল কারণ জানা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এছাড়াও জামাল হোসেনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জামাল হোসেনকে পাওয়া সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

এসআই শাহ আলম জানান, লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বারডেম চিকিৎসক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ