পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ৩৮ জেলায় স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে মামলা জনিত কারণে এসব জেলার নিয়োগ কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) খান মো. নুরুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ স্থগিতের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সহকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর ফলাফলে ৬০ শতাংশ মহিলা কোটা সংরক্ষণ হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্টে ৩৮ জেলায় রীট পিটিশন মামলা করা হয়েছে। এ রীট পিটিশনের আদেশে আদালত আগামী ৬ মাসের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফলে পূর্ব ঘোষণা মতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এসব জেলায় যোগদানের বিষয়টি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বলা হয়েছে, মামলা জনিত কারণে এসব জেলায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদান, কর্মশালা ও পদায়ন নির্দেশনা অনিবার্য কারণবশত: স্থগিত করা হলো। আদালতে বিষয়টি সুরাহা হলে পরবর্তীতে তাদের যোগদান-পদায়নের সময় জানিয়ে দেয়া হবে বলে। এ নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ডাকযোগে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি যোগদান ও ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের কর্মশালামূলক প্রশিক্ষক অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশনা জারি করায় সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েলো। ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের করতে নির্দেশনা জারির কথা কথা রয়েছে বলে জানা যায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা পর সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ৫৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থী পাস করেছেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীদের গত বছরের ৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
মৌখিক পরীক্ষাও শেষ হলে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য ১৮ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষক চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটার বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় ৩৮ জেলায় শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত।
স্থগিত হওয়া জেলাগুলো হচ্ছে- বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, নড়াইল, খুলনা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ঢাকা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কক্সবাজার, বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।