Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে আর নয়

হাইকোর্টের নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

আদালতের নির্দেশের পরেও সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি কীভাবে চলছে তা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ফিটনেস নবায়ন না করা কোনও গাড়ি সড়কে চলতে পারবে না। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিআরটিএকে এ বিষয়ে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ফিটনেসবিহীন পরিবহনের বিষয়ে বিআরটিএ একটি প্রতিবেদন দাখিলের পর গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। বিআরটিএ’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

বিআরটিএ’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ফিটনেসবিহীন প্রায় ৫ লাখ গাড়ি ছিল। ওইদিন আদালত আদেশ দেন- ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে। এ আদেশ অনুসারে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যানার লাগিয়েছে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িকে জ্বালানি দিচ্ছে না।

গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে সারাদেশে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ি তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে বলে জানানো হয়। গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ৭১ হাজার ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে উপরোক্ত আদেশ দেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।

শুনানি শেষে ফিটনেসবিহীন ও নিবন্ধনহীন যান চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া যান চালানো রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার সম্বলিত সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের চেতনা বাস্তবায়নে মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩ সহ সংশ্লিষ্ট সব আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাড়ি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ