Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মালিকানা জটিলতায় গভীর নুলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ : ফুলবাড়ীতে ২শ’ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত

প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ১টি গভীর নলকূপের মালিকানা জটিলতায় ২ পক্ষের রশি টানাটানিতে আটকে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে ২শ’ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের চিন্তামন রাধিকাপুর মাঠের গভীর নলকূপটি নিয়ে ২টি গ্রুপের মধ্যে মালিকানা জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে গভীর নলকূপটি। এতে ওই এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষকের ২শ’ বিঘা জমি বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে গভীর নলকূপটি ১৯৮২ সালে স্থাপন হওয়ার পর থেকে সমিতির মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে আসলেও ২০০৪ সালে গভীর নলকূপটি মালিকানা পরিবর্তন ঘটে। ২০০৪ সাল থেকে মফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান নিজ দায়িত্বে গভীর নলকূপটি পরিচালনা শুরু করলে ২০১৫ সালে এসে গভীর নলকূপটির মালিকানা নিয়ে অন্য সদস্যরা দাবি তোলেন। এর পর শুরু হয় গভীর নলকূপটি জোর দখল ও মামলা মোকদ্দমা। ফলে ২০১৫ সাল থেকেই গভীর নলকূপটি এখন বন্ধ হয়ে আছে। ২০১৬ সালে সমিতির সদস্য ফিরোজ হোসেন দখল করে তেলের মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিলেও কয়েক বিঘা জমি ছাড়া বাকি জমিতে পানি দিতে পারছে না। এদিকে উচ্চ আদালতের মামলায় রায় পেয়েও গভীর নলকূপটি দখলে নিতে পারছেন না মফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ হয়ে গেছে গভীর নলকূপটিতে। ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসিরা জানায়, এই এলাকার বোরো আবাদ সচল করার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে কে এস এস নামে এক কৃষক সমিতির নামে ঋণের মাধ্যমে চিন্তামন রাধিকাপুর মাঠে ১টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএডিসি। গভীর নলকূপটি ওই এলাকার সমিতির ৩৯জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গভীর নলকূপটির প্রসার ঘটাতে ১৯৯৬ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়। কিন্তু ওই সময় গভীর নলকূপটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন গভীর নলকূপটির ম্যানেজার মকলেছার রহমান। ম্যানেজার মকলেছার রহমান সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ১৯৯৭ সালে নলকূপটির উপর ১টি বিদ্যুৎ মামলা জারি হয়। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর গভীর নলকূপটির ঋণের দায় বেড়ে গেলে ২০০৪ সালে চিন্তামন রাধিকাপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান একই এলাকার মফি উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহীম, নবীর উদ্দিন, রহিমুদ্দিনের ছেলে কায়সার আলী, মিরাজ উদ্দিনের ছেলে গোলজার হোসেন, আব্দুল করিম ও শুটকু মন্ডলের ছেলে মনজিল একটি রেজুলেশন করে গভীর নলকূপটির সমুদয় ঋণ পরিশোধ করে তাদের মালিকানায় নেয়। এর পর ২০১৫ সালে একই এলাকার ফিরোজ হোসেনসহ ওই সমিতির বাকি সদস্যরা আবারও গভীর নলকূপটির মালিকানা নিয়ে দাবি তোলেন। এর পর শুরু হয় ২ পক্ষের মামলা, মোকদ্দমা। এই দুই পক্ষের মামলা মোকদ্দমায় গভীর নলকূপটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকার কৃষকেরা পানি সেচ দিতে না পেরে এখন বোরো চাষ করতে পারছেন না। আজিজার রহমান জানায়, তিনিসহ সমিতিরি ৭ সদস্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২০০৪ সালে বিএডিসির নিকট থেকে গভীর নলকূপটি ক্রয় করেন। এর পর তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নিকট আবেদন করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ ফিরোজসহ তাদের পক্ষের লোকজনের বাধায় আজও বিদ্যুৎ সংযোগটি নিতে পারেননি। তাদের মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চললেও সেখান থেকে ফিরোজ হোসেনসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা তাদের মালিকানা ফিরে পেয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে বেতদীঘি ইউনিয়র চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গভীর নলকূপটি সমিতির। এই নলকূপটিতে সমিতির সকল সদস্যের স্বার্থ জড়িত আছে। এ কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির পক্ষেই মতামত দিয়েছে। এজন্য তিনি সমিতির সকল সদস্যকে নিয়েই গভীর নলকূপটি পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু তার সে পরামর্শ অধিকাংশ সদস্য না মানায় বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মালিকানা জটিলতায় গভীর নুলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ : ফুলবাড়ীতে ২শ’ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->