পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতারক চক্রের মাধ্যমে লোভে পড়ে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি প্রকৌশলী এম তালহা ম্যাগনেটিক রাইস পুলার কয়েন ব্যবসায় প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। পরে বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। এক পর্যায়ে এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তবে ফের গত রোববার ওই চক্রের সদস্যরা তালহাকে ওই ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে বলে। এসময় ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।
গ্রেফতাররা হলেন-বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, একই উপজেলার বাসিন্দা লাল মিয়া ও বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা সুজন মিয়া। গত রোববার রাজধানীর বনানী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তারা ম্যাগনেটিক রাইস কয়েনের ব্যবসার কথা বলে প্রকৌশলী এম তালহার কাছ থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান সিআইডির ওই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা কামাল বলেন,প্রতারক চক্রটি ২০১৯ সালের জুলাইয়ে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি প্রকৌশলী এম তালহাকে জানান, তাদের কাছে বহু মূল্যবান ম্যাগনেটিক রাইস পুলার কয়েন আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ আমলের এই ম্যাগনেটিক কয়েনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যারেনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন- নাসার কাছে এগুলো কোটি টাকায় বিক্রি করা যাবে। এক পর্যায়ে কৌতূহলী হয়ে কথিত কয়েন দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী এম তালহা।
পরে প্রতারক চক্রের সদস্যরা তালহাকে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে নিয়ে যায়। সেখানে আমিনুল ইসলাম নামের প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য ছিল। এ সময় আমিনুল নিজেকে ইউরেনিয়াম এনার্জি লিমিটেডের সিনিয়র টেকনিশিয়ান হিসেবে পরিচয় দেন। এছাড়া আমিনুল ইসলাম তালহাকে বলেন, বাংলাদেশের অনেক নামি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তার মাধ্যমে ম্যাগনেটিক কয়েনের ব্যবসা করেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির ওই নেতা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রতারক চক্রের একাধিক সদস্য বিভিন্ন সময় তার বাসায় যান। এ সময় নানা ধরনের কথা বলে তাদের সাথে ম্যাগনেটিক কয়েন ব্যবসায় বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে।
সিআইডি ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জাপার ওই নেতা যখন কয়েন কিনতে আগ্রহী হন, তখন তার কাছ থেকে কয়েনের ইউনিট ক্রয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে রিপোর্ট সংগ্রহ, প্যাকিং প্রক্রিয়া, বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধির বিভিন্ন ব্যয় বহন, বিক্রিয় মধ্যস্থতাকারী এচেন্টের পাওনা আগ্রীম প্রদানসহ বিভিন্ন কথা বলে ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এক পর্যায়ে জাপার ওই নেতা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পারেন।
সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল জানান, দীর্ঘদিন প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাকে রাইস কয়েন দিতে পারেন নাই। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। কিন্তু গত রোববার ফের তালহাকে ওই চক্রের সদস্যরা রাইস কয়েন বিক্রিয় প্রলোভন দিচ্ছে; এমন খবর পেয়ে বনানী এলাকায় অভিযান চালায় সিআইডি। এ সময় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করার করা হয়। পরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা এ কাজের জড়িত বলে স্বীকার করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রকৌশলী তালহাও একজন সাধারণ মানুষের মতোই। তিনিও ব্যবসা করেন। অন্য আরেকজনের মতো তিনিও স্বাভাবিকভাবে লোভে পড়েছেন। ফলে তার কোটি টাকা চলে গেছে। আর প্রতারক চক্রের সদস্যরাও এমনভাবে তাকে বুঝিয়েছে যে, তিনিও টাকা দিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।