পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- সাইদুল ইসলাম বিপ্লব (৩০) ও পলাশ ইসলাম (২৮)। তাদের কাছ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ২৯টি মোবাইল সিম, চারটি মোবাইল ফোন, নগদ ৪০ হাজার টাকা, ১২০০ ডলার ও একটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
গতকাল তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ইয়াসিন মোল্লার কাছে পাঁচ লাখ ও জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কাশেমের কাছে সাত লাখ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ডেইজী সারওয়ারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তাদের বিরুদ্ধে আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করতে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ¥ীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে গত শনিবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রতারক চক্রের মূলহোতা সাইদুল ইসলাম বিপ্লব। সে ওসির মোবাইল নম্বর স্পুফিং করে যোগাযোগ করে পরে নিজেই ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভোটে জেতানোর জন্য পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে। আর গ্রেফতার হওয়া পলাশ তাকে সহযোগিতা করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সাল থেকেক মোট ৮১১ জনের পরিচয় ব্যবহার করে বিপ্লব পুলিশ কর্মকর্তা ও সচিবসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর স্পুফিং করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তবে ভোটে জিততে প্রার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনের বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।