Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রলীগের নেতৃত্ব পেয়ে বেপরোয়া হামিদুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়ে হামিদুল্লাহ নামের এক নেতা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পদ পাওয়ার পর বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ শেফালী আক্তারের শরীরে হাত তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গত ৯ জুন থানা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ শেফালী আক্তার শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছেন। যার নম্বর-৫, তারিখ ০৯/০৬/২০১৬। এছাড়াও ভুক্তভোগীরা ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
হামিদুল্লাহর হাতে মার খাওয়া শেখ শেফালী আক্তার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া লিখিত অভিযোগে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শাজাহানপুর থানার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাত্তরের তালিকাভুক্ত এক স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের নাতি হামিদুল্লাহকে নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তিনি মতিঝিল এলাকার তালিকাভুক্ত রাজাকার শেখ নুরুল ইসলাম শান্তিবাগীর নাতি। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের সঙ্গে শেখ হামিদুল্লাহর দাদা ও বাবাসহ তার পরিবারের রয়েছে ঘনিষ্ঠতা। তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে রয়েছে শেখ হামিদুল্লাহসহ তার দাদা ও বাবার ছবিও রয়েছে।
তিনি বলেন, হামিদুল্লাহ কখনো আওয়ামী ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল না। ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যত জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, সব সময়ই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল এমনকি তাদের নির্বাচনী ক্যাম্পও ভাঙচুর করেছে হামিদুল্লাহ ও তার সহযোগীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, শাহাজানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির দপ্তর সম্পাদক রুবেলের কাছে হামিদুল্লাহ আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে এলাকায় ঢুকতে এবং ইন্টারনেট ক্যাবলের ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। ফলে রুবেল এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে নবগঠিত শাজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হামিদুল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। মারামারির ঘটনাটি পুরোপুরি পারিবারিক সমস্যা থেকেই হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ নুরুল ইসলাম শান্তিবাগী আমার দাদা নন। আমার দাদার নাম শেখ সেকান্দার আলী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ সেকান্দার আলী হামিদুল্লাহর চাচাতো দাদা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগের নেতৃত্ব পেয়ে বেপরোয়া হামিদুল্লাহ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ