পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই বছর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হল কমিটি দিতে পারেনি বর্তমান কমিটি। যার কারণে ক্ষোভ, হতাশা আর রাজনৈতিক কোন্দলে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অনেক ত্যাগী নেতা। এমন অবস্থায় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে শাখা ছাত্রলীগের কমিশন বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে নেই সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল। যদিও পরে তিনি কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে বিদায় জানান। এরপর থেকে সভাপতির একক সিদ্ধান্তে খুড়িয়ে চলছে শাখা ছাত্রলীগ। এমন অবস্থায় কমিটি নিয়ে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিট। গত ৩০ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে বাইক শোডাউনের মাধ্যমে এই বিবাদ প্রকাশ্য রূপ নেয়। এদিনই সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারীরাই তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। বিবাদের পর অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। তার পাশে নিজ হলের নেতাকর্মী ছাড়া আর কেউ নেই। আর ছেলেদের বাকি ৭টি হলের নেতাকর্মীরাই সভাপতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা শুরু করেছেন। গত রোববার তারা সভাপতিকে বাদ দিয়েই ক্যাম্পাসে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিএনপির ডাকা হরতালকে অযৌক্তিক দাবি করে তারা এ কর্মসূচী পালন করেন তারা। এতে শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মাইনুল হুসাইন রাজন ছাত্রলীগের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, গত ছয় মাস যাবৎ সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে নেই। সভাপতিকেও সব সময় পাওয়া যায় না। এভাবে একটি ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চলতে পারে না। তাই আমরা এখন থেকে আলাদা প্ল্যাটফর্মে কর্মসূচী পালন করব। এখানে আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে নতুন প্ল্যাটফর্মে প্রাণ ফিরে পেয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
এছাড়া রোববার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে সভাপতির হল হিসেবে পরিচিত আ.ফ.ম কামাল উদ্দিন হলের পাশে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনায় সভাপতি গ্রুপ ও বিদ্রোহী গ্রুপ একে অপরকে অভিযুক্ত করছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুলির শব্দ শুনার পর আতঙ্কে ক্যাম্প ফায়ার করে জেগে ছিলেন কামাল উদ্দিন হলের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহীদের কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতারা বলছেন, তাদের কোনো নেতাকর্মী এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত নয়। বরং তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য সভাপতি নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এছাড়া দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনে যান সভাপতি মো. জুয়েল রানা। পরে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরাও সেখানে যান। এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিদ্রোহীরা উপাচার্যের কাছে দাবি জানান সভাপতিকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে হবে। এসময় উপাচার্য তাদের কাছে কিছুদিন সময় চান। পরে বিদ্রোহীরা ফিরে আসেন।
ক্যাম্পাসের এমন পরিস্থিতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এছাড়া হল প্রভোস্ট কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংও ডাকা হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত রাখতে যথপোযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
কমিটি নিয়ে জাবি ছাত্রলীগের এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সম্পাদক নেই, সেহেতু একটি শূন্যতাতো রয়েছে। এ অবস্থায় আমরা ছাত্রলীগের স্বার্থে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নতুন কমিটি অথবা ভারপ্রাপ্ত কমিটি দেওয়ার কথা ভাবছি। গুলি ছোড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোনো অংশ যদি এর সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।