পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় দীর্ঘদিন ‘সেফহোমে’ থাকার পর টেকনাফে কয়েক হাজার মানুষের সামনে দ্বিতীয় দফায় ২৫ ইয়াবা কারবারি ও হুন্ডি কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা ২১ হাজার ইয়াবা, ১০ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩০ রাউন্ড গুলি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।
সোমবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠিত হয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন-মাদকসহ কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না, মাদকের কারণে আজ যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশের ৫০ কোটি টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। সুযোগ পেয়েও যারা আত্মসমর্পণ করছে না তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। টেকনাফে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি এড. তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস, টেকনাফ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নুরুল হুদা, টেকনাফ বড় মাদরাসার মুহতামিম মো. কিফায়ত উল্লাহ শফিক, টেকনাফ পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম প্রমূখ।
আত্মসমর্পণ করেছে যারা -টেকনাফ মৌলভী পাড়ার আবুল কালাম প্রকাশ কালা সওদাগর (৪৯), আব্দুল আমিন প্রকাশ আবুল (৩৯), সাবরাং লেজির পাড়ার মো. ইদ্রিস (৫৭), টেকনাফ পৌর এলাকাস্থ চৌধুরী পাড়ার লামার বাজারের মো. ইসমাঈল (৩১), সাবরাং খয়রাতি পাড়ার মো. সাদ্দাম (২৭), মৌলভীপাড়ার বশির আহমদ (৪০), সাবরাং সিকদার পাড়ার আব্দুল গফুর (২৬), মৌলভীপাড়ার মো. রিদুয়ান (২২), উত্তর লম্বরীর মোহাম্মদ তৈয়ব প্রকাশ মধু তৈয়ব (৩৮), হ্নীলা ফুলের ডেইলের নুর মোহাম্মদ (২৮), হ্নীলা সিকদার পাড়ার ঈমান হোছন (৩০), কক্সবাজার ঝিলংজাস্থ লারপাড়ার ঈমান হোছন (৪৩), টেকনাফ মৌলভী পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক (৩০), হোয়াইক্যং পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার শাহাদাত হোসেন (২৮), টেকনাফ মৌলভীপাড়ার মোহাম্মদ রাসেল প্রকাশ হাজী রাসেল (২৯), ফজল করিম (২৬), পুরান পল্লান পাড়ার আব্দুল নুর (৩৯), টেকনাফ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন মাঠ পাড়ার মো. জাহেদ উল্লাহ (২৪), সাবরাং সিকদার পাড়ার মো. হোসেন প্রকাশ কালু (২৮) ও হ্নীলা ঊলুচামরী কোনার পাড়ার মিজানুর রহমান (২৩)।
যেসব শর্তে আত্মসমর্পণ : ১. নিজের হেফাজতে থাকা সব ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। ২. আত্মসমর্পণের আগের মামলা ও বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। ৩. ইয়াবা কারবারে নিজের বা পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে অর্জিত সব সম্পদ দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং শাখা ও এনবিআরের মাধ্যমে যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৪. আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় দায়ের হওয়া মামলায় সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে সহায়তা দেয়া হবে। ৫. যেসব মাদক কারবারি এখনও সক্রিয় তাদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। ৬. আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় মাদকবিরোধী কর্মকান্ড করতে হবে। ৭. ভবিষ্যতে কখনও মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হওয়া যাবে না। ৮. আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হবে, সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের আইনগত সুবিধা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার পুলিশের তালিকাভুক্ত ১১৫১ মাদক কারবারির মধ্যে ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০২ জন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল। উল্লেখ্য- কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ২৮০জন মাদক কারবারি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।