Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেয়ারবাজারে তেজিভাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর দেশের শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা দিয়েছে। মূল্য সূচকের টানা উত্থানের পাশাপাশি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে লেনদেনের গতি। গত শনিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের পর গত রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। হরতালের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে চলে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সিটি ভোটের পর প্রথম কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ।

গতকাল সোমবারও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। শুরু থেকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় ডিএসইতে বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে আট কার্যদিবস পর বাজারটিতে আবারও ৫০০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেমন কোনো রাজনৈতিক সংঘাত ছাড়াই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এতে ভবিষ্যত নিয়ে কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া স¤প্রতি সরকার শেয়ারবাজার গতিশীল করতে বেশ তৎপরতা চালিয়েছে। এরই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।
এ বিষয়ে ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, যে যাই বলুক যেকোনো নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের আশঙ্কা থাকেই। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কি হয় তা নিয়েও এক ধরনের শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এতে সামনে রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না বলেই ধরে নেয়া যায়।

তিনি বলেন, স¤প্রতি শেয়ারবাজার ভালো করতে সরকারের ওপর মহলের নানা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ছাড় দেয়া হচ্ছে।

সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায় এটা এখন সবার কাছে স্পষ্ট। এ পরস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া এবং সরকার দলের প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভালো শেয়ারবাজারের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭১১ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ