রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমিনুল হক, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
কিছু ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম দীর্ঘদিন ধরেই আকাশ ছোঁয়া। অবশেষে সম্প্রতি মূল্য কিছুটা হাতের নাগালে এলেও একইসঙ্গে কমেছে পাকিস্তানি লেয়ার ও দেশি মুরগির দামও। পোলট্রি মুরগির দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য এখন মুরগির মাংস হাতের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেশি দামে এখনো কিনতে হচ্ছে জনগণকে। ক’দিন আগে দুইশত টাকা কেজিতে বিক্রি করেছে এই চক্র। গত শুক্রবার পর্যন্ত কয়েকদিন ধরে মিরসরাই উপজেলার পৌরসদর বাজার, বারইয়াহাট, মিঠাছড়া, আবুতোরাব, আবুরহাট, শান্তিরহাট, বড়দারোগারহাট, বড়তাকিয়া বাজারগুলোতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। ১৫ রমজানের সময় থেকে চলছে এই দাম। এর পূর্বে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কয়েক মাস ধরে। পাশাপাশি পাকিস্তানি লেয়ার ও দেশি মুরগির দামও বেড়েছে। গত মাসেও পাকিস্তানি মুরগি (৭৫০-৯০০ গ্রাম) প্রতিটি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল হয়েছে ২৫০-৩০০ টাকায়। একই ওজনের দেশি মুরগি গত মাসে ৩০০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৫০-৫৫০, খাসি ৭০০ ও ছাগির মাংস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বারইয়াহাটের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আব্দুল মাবুদ জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। কেন বেড়েছে এর উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাচারি ও খামারিদের ওপর এটি নির্ভর করছে। যখন খামারে মুরগির উৎপাদন বেশি হয়, তখন দাম কমে। আবার মুরগির সংকট হলে দাম বাড়ে। আবার ইতোমধ্যে বড় বড় কিছু হ্যাচারিতে বাড়তি মূল্যে বাজারে মুরগি সরবরাহ হওয়ায় ক্ষুদে খামারিদেরও লাভ করার আশায় বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদিত মুরগিগুলো। এদিকে, মিরসরাই বাজারের ক্রেতা মীর হোসেন বলেন, দু’মাস আগে মাত্র ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় কিনলাম মুরগি। আবার স্বাভাবিকভাবেই ১৪০ এর উপরে উঠার কথা নয় পোল্ট্রি মুরগির দাম। পূর্বেও ১৫০ টাকার বেশি কখনো মুরগির দাম উঠেনি। এখন কেন এত দাম বাড়লো তা পোলট্রি খামারিরা আর বিক্রেতারাই জানেন। অপর সচেতন ক্রেতা মাস্টার নুরুল হুদা মন্তব্য করলেন সিন্ডিকেট ভাই, সব জায়গাতেই বিক্রেতারা বেশি লাভ করতে হলে তো ক্রেতা মেরেই করতে হবে। অনেকের ধারণা, খামারি আর হ্যাচারি মালিকদের দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন ওরা লোকসান গুনেছে অথবা লাভ কম হয়েছে। এখন রমজান ও আসন্ন ঈদের এই ভরা মওসুমে তা পুষিয়ে নিতেই ওরা এমনটি করছে। এই বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি জনাব শাহ আলম বলেন, পোলট্রি মুরগিসহ সকল প্রকার মাছ-মাংসের মূল্য নিয়ে প্রশাসনের মনিটরিং প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে নীতিগত দাবি জানাব প্রশাসনকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।