Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:০০ পিএম

যাত্রী সাধারণের প্রবল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস, কলকাতা ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শনিবার ভারতের পূর্ব রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন চলবে। আর বন্ধন এক্সপ্রেস একদিনের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন চলবে। মৈত্রী এক্সপ্রেসে স¤প্রসারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ রেক দ্বারা পরিচালিত মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে শুক্র, রবি ও মঙ্গলবার ছাড়বে এবং ১২ই ফেব্রæয়ারি কলকাতা স্টেশন থেকে শনি, সোম ও বুধবার ফিরে যাবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ রেক দ্বারা পরিচালিত মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল ১ দিন স¤প্রসারণ করা হয়েছে। ফলে ভারত ও বাংলাদেশের রেক মিলিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবার থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মঙ্গল, বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার এবং কলকাতা স্টেশন থেকে সোম, মঙ্গল, বুধ, শুক্র ও শনিবার যাতায়াত করবে। একমাত্র বৃহস্পতিবার ও রবিবার কলকাতা স্টেশন থেকে কোনও মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়বে না।

অন্যদিকে ঢাকা থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার কোনও মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করবে না। এদিকে কলকাতা ও খুলনার মধ্যে এতদিন শুধু বৃহস্পতিবারই বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে ছেড়ে সেদিনই ফিরে আসত কলকাতায়।

তবে এখন থেকে বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি রবিবারও ট্রেনটি কলকাতা ও খুলনার মধ্যে চলাচল করবে। উল্লেখ্য, কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন কলকাতা থেকে ছেড়ে গিয়েছিল প্রথম মৈত্রী এক্সপ্রেস। ঢাকা থেকেও ছেড়ে এসেছিল আরেকটি ট্রেন। কলকাতা থেকে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেছিলেন। তবে প্রথম দিকে মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রী সংখ্যা আশানুরূপ ছিল না। সীমান্তের দু’পাড়ে (ভারতের গেদে এবং বাংলাদেশের দর্শনায়) যাত্রীদের মাল নামিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে অভিবাসন ও শুল্ক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হতো বলে ৩৭৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ১০ ঘন্টা সময় লেগে যেতো। ফলে মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাতায়াতে আগ্রহী ছিলেন না যাত্রীরা।

পরবর্তী সময়ে অবশ্য যাত্রী সাধারণের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সুবিধার কথা বিবেচনা করে দুই প্রান্তিক স্টেশনে অভিবাসন ও শুল্ক পরীক্ষার ব্যবস্থা হওয়ায় এখন ৮ ঘন্টায় কলকাতা থেকে ঢাকা পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাওয়ার চাহিদা অসম্ভব বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় যাওয়া যাত্রীদের অভিযোগ, কলকাতা স্টেশনে সরকারিভাবে কোনও মুদ্রা পরিবর্তনকারী সংস্থার কাউন্টার না থাকায় ডলার বা টাকা ভাঙাতে না পেরে দালালদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে। অনেকে গন্তব্যে যেতে প্রবল হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। অন্যদিকে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ সফরে ইচ্ছুক যাত্রীরা কলকাতা স্টেশন থেকে উভয়মুখে যাতায়াতের টিকিট না পেয়ে অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের রিটার্ন টিকিট কাটতে ফেয়ারলি প্লেসে রেলওয়ের অফিসে ছুটতে হয়। সেখানে প্রচুর লাইনও হয়। অথচ কলকাতা স্টেশনের কাউন্টার ফাঁকা থাকে। এদিকে কলকাতা থেকে খুলনার মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৭ সালে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে। প্রথম দিকে যাত্রী সংখ্যা কম হলেও এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। আর তাই যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে এখন থেকে দুই দিন বন্ধন এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ