পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর নয়া পল্টনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ২০ জনের অধিক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে শেষ সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মালিবাগ আবুজর গিফারি কলেজ কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই কাউন্সিলর প্রার্থীদের একজন আওয়ামীলীগ সমর্থিত গোলাম আশরাফ তালুকদার। আরেকজন এ দলেরই বিদ্রোহী মামুম রশিদ শুভ্র। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বিএনপির নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কুশপুতুল আগুন দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে সেই এলাকায় তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসবক দল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাকরাইল থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর নের্তৃত্বে আরেকটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের মিছিল দেখে বিএনপিকর্মীরা ‘ভোট চোর’, ‘ভূয়া ভূয়া’ বলে স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পল্টন থানার ওসি আবুব বকর সিদ্দিক জানান, গতকাল বিকেলে বিএনপির অফিসের সামনে তাদের দলীয় লোকজন জড়ো হচ্ছিল। সেই সময় তাদের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল। মিছিলটি বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যাওয়া মাত্র উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি মহাসচিবের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ইউনুস সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ঢিল ছুঁড়ে। এ সময় দলের কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, হামলার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।
বিএনপি নেতারা জানান, হামলার খবর সাথে সাথে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী মিছিলকারীদের নিবৃত্ত করে।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ সাংবাদিকদের জানান, নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মতিঝিল বিভাগের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ বার বার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।