পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী, এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে। দিনভর ভোট গ্রহণের সময় ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া, গ্রেফতার, এজেন্টের স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকী প্রদান, প্রার্থীর ওপর হামলা, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেয়া, জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা, বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করাসহ নানা অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার ভোট গ্রহণ শেষে উত্তর সিটির নির্বাচনে কেন্দ্র ভিত্তিক এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উত্তর সিটির ৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুল, দোয়েল কিন্ডারগার্ডেন, শহীদ আ: মান্নান খান মডেল হাইস্কুল, জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোলারটেক মিরপুর ল্যাবরেটরি স্কুল, আসমা বিদ্যানিকেতন, পাঞ্জেরি কিন্ডারগার্ডেন, বাগবাড়ী শহীদ মডেল স্কুল, বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগবাড়ী ল্যাবরেটরি হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হাইস্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট মোঃ ইব্রাহিম মোল্লাকে মারধর করে মাঠের মাঝখানে কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এছাড়া তার স্ত্রীকে একটি খালি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে ১ঘন্টা পর কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। হামলায় আহতদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম মিন্টু ও বিএনপি নেতা মোঃ রফিকের অবস্থা গুরুতর। ১নং ওয়ার্ডে অনন্য নগর আদর্শ বিদ্যালয় ও অনন্য নগর আইডিয়াল স্কুল ভোট কেন্দ্রে কাউকে ডুকতে দেয়া হয়নি। ১৮নং ওয়ার্ডের শাহজাদপুর বাঁশতলা, নগর মাহমুদ স্কুল কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজেই সকল ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেন। ২৪নং ওয়ার্ডে প্রভাতি ভোট কেন্দ্র নয়াটোলা, আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ মুজিব একাডেমি, শ্যামলী আইডিয়াল ও প্রিম রোজ কিন্ডারগার্ডেন, ১৭নং ওয়ার্ডে কুর্মিটোলা সরকারি হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৬নং ওয়ার্ডে তেজগাঁও বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ১০নং ওয়ার্ডে আর্সি স্কুল কেন্দ্র আওয়ামীলীগ নেতা মিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা মামুনের উপর হামলা, কবি নজরুল স্কুল কেন্দ্রে জহিরুল ইসলাম জহিরের উপর হামলা, দারুস সালাম স্কুল, জুবেলিন কেয়ার স্কুল, বাংলাদেশ ভোট কোরিয়া ভোট কেন্দ্র , এফ এম স্কুল কেন্দ্র ও দারুস সালাম ভোট কেন্দ্র, ৩নং ওয়ার্ডে শাহ আলী গার্লস স্কুল, ৭নং ওয়ার্ডে ইসলামি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, ১৫নং ওয়ার্ডে ঢাকা কেয়ার কলেজ, শিশু মঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিকাটা কেন্দ্র ও ধামাল কোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।
৪০নং ওয়ার্ডে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, ২২নং ওয়ার্ডে সানশাইন মডার্ণ স্কুল, নিউ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্রীণ গার্ডেন ল্যাব: স্কুল, দিদার আদর্শ কেজি স্কুল, পূর্ব রামপুরা, ২৩নং ওয়ার্ডে বনশ্রী আইডিয়াল কলেজে, ৩৩নং ওয়ার্ডে গ্রাফিক্স আর্ট হাইস্কুল এবং বড় বাড়ী স্কুল, ১৭নং ওয়ার্ডে ক্যামব্রিয়ান কলেজ ভোট কেন্দ্রে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, এছাড়াও ডুমনী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডুমনী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদেরও ঢুকতে বাঁধা দেয়া হয়। ১৬নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের কাউন্সিলরের স্ত্রীসহ ৬ জনকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেদম মারধর করে এবং সকল এজেন্টদের বের করে দেয়। ১৯নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়। ২৪নং ওয়ার্ডে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল টিচার্স কলেজ, গøাস এন্ড সিরামিক ভোট কেন্দ্রসহ সকল ভোট কেন্দ্র নিজেদের দখলে নেয় ছাত্রলীগ। ৫১নং ওয়ার্ডে উত্তরা ল্যাব: হাইস্কুল কেন্দ্রে জোর করে নৌকায় ভোট দেয়া হয়। বিএনপি’র এজেন্টরা প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। লালকুটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট লুৎফর রহমান বিজয়কে টয়লেটে আটকে রেখে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। ২নং ওয়ার্ডে পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, লিটল ফ্লালাওয়ার স্কুল এবং উত্তরা মডেল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়, এজেন্টরা পুনরায় ঢুকতে গেলে পুলিশের সামনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পল্লবী থানা যুবদল সভাপতি পিন্টুকে রড দিয়ে পেটায় এবং দা দিয়ে মাথায় কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাত কেটে যায়।
৮নং ওয়ার্ডে দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হযরত শাহ আলী উচ্চ বিদ্যায়, মনিকানন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতৃতে হামলা ও কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়, আওয়ামীলীগের সহযোগিতায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণ সাধারণ ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নৌকায় চাপ দিতে বাধ্য করছে। ১১নং ওয়ার্ডের সকল কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী ও এজেন্টদের আহত করেছে। ১২নং ওয়ার্ডে সকল কেন্দ্র থেকে পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। ১৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রাব্বিসহ মোট ১৬ জন আহত। এছাড়াও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাসলিমা আজাদীর বাসায় হামলা চালিয়ে বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখায়।
দক্ষিণ সিটি: ১৪নং ওয়ার্ডে জরিনা শিকদার হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রের গেট থেকে ধানের শীষের এজেন্ট মোঃ রাজিব হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৮নং ওয়ার্ডে গভ: ল্যাবরেটরী হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীসহ এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় আওয়ামীলীগ। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীর ভাই ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি হুমায়ুন পাটোয়ারী এবং তার মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২নং ওয়ার্ডে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল, গোড়ান প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সানরাইজ স্কুল, গোড়ান প্রাইমারি স্কুল, গোড়ান আদর্শ স্কুল, বদিনাতুল উলুম মাদরাসা, শান্তিপুর স্কুল ও গোল্ডেন হেভেন স্কুল, ৬৮নং ওয়ার্ডে এমএ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়, ৪০নং ওয়ার্ডে মিতালী স্কুল, দয়াগঞ্জ স্কুল, সাধু জোসেফ কারিগরী স্কুল, নারিন্দা স্কুল, গোপীবাগ মিতালী স্কুল থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করে রক্তাক্ত করে, পুরানা পল্টন নিধুর সিটি, শান্তিনগর আইডিয়াল, ৪৯নং ওয়ার্ডে নারিন্দা মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬নং ওয়ার্ডে ১৩২ চিলড্রেন হোমস, ২২নং ওয়ার্ডে সালেহা হাইস্কুল কেন্দ্র, নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫নং ওয়ার্ডের জামিলা খাতুন, জগোমহন, রহমতুল্লাহ গালর্স ও বয়েজ স্কুল কেন্দ্রে, ৩৫নং ওয়ার্ডের গোয়ালনগর আজিজিয়া স্কুল ও শহীদ জিয়া স্কুল কেন্দ্রে, ৩৭নং ওয়ার্ডে বুলবুল ললিত কলা একাডেমী, ৪৩নং ওয়ার্ডে নর্থব্রæক হল কেন্দ্র, ফরাজগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব কেন্দ্র ও ময়েজ উদ্দিন চৌ: মেমোরিয়াল হল, ৪৪নং ওয়ার্ডে সূত্রাপুর কমিনিটি সেন্টার, শিশু কল্যাণ ও পথকোলি স্কুল কেন্দ্র, বেগমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৯নং ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল ওমেন্স কলেজ, ৪১নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ মৌসুন্ডী স্কুল, ৪২নং ওয়ার্ডে সরকারী সোহরাওয়াদী কলেজ কেন্দ্র, সরকারী কবি নজরুল কলেজ, ৪৮নং ওয়ার্ডে যাত্রাবাড়ী শহীদ মহিলা স্কুল কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ চৌধুরী আহলে হাদিস কেন্দ্র, ৫৩নং ওয়ার্ডে কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ডলফিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, আশরাফ মাষ্টার উচ্চ বিদ্যালয়, ১৩নং ওয়ার্ডে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।
২০নং ওয়ার্ডে সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের কোন এজেন্টই ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। একজনের গায়ে গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়। এজেন্ট শাহবুদ্দিনকে বেধরক পেটানো হয়। কাফরুল মেগডোন স্কুলে, বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম স্বপন এবং ধানের শীষ এজেন্টদের সেগুনবাগিচা হাইস্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল, আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেগম রহিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি এবং বিএনপি কর্মী খলিলুর রহমানকে মারধর করে গুরুতর আহত হয়। মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কাউন্সিল প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন আওয়ামী লীগ কর্মীরা কেড়ে নেয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। ১৩নং ওয়ার্ডে পল্টন কমিনিটি সেন্টার কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এস এম আব্বাসসহ তার লোকজনকে মারধর করে বের করে দেয়, পুরানা পল্টন মহিলা কেন্দ্রে বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থীকে অস্ত্রের মুখে বের করে দেয়।
২৬নং ওয়ার্ডে লালবাগ থানাধীন আজিমপুর ভিকারুননেছা স্কুল কেন্দ্রে ছাত্রলীগ ও যুব লীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে কেন্দ্রে অবস্তানরত পুলিশকে অবহিত করা ও লালবাগ জোনের পুলিশের ডিসিকে টেলিফোনে অবগত করা হয়। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরপরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লিটল এ্যাঞ্জেল স্কুল কেন্দ্রেও তারা হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে ও নেতাকর্মীদের মারধর করে। ঐ এলাকার বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থী মীর আশরাফ আলী আজমসহ ২ জন নেতা গুরুতর আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।