পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাত পোহালেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। রাজধানীর মাঠে কোনঠাসা বিএনপিতে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুনর্জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৮ সালের পর রাজধানীর অলিতে-গলিতে ধানের শীষের পোস্টার, মিছিল- স্লোগান, প্রচার-প্রচারণায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছে দলটির ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা। তাদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে দুই সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রতিটি মিছিল, প্রচারণা, পথসভা, গণসংযোগ রূপ নিয়েছে জনসভায়। শহরের গলিপথ, রাজপথে প্রার্থীদের সাথে সাথে নেমেছিল জনতার ঢল। ধানের শীষের পক্ষে ঢাকাবাসীর এই ভালোবাসা ও প্রচারণা অংশগ্রহণ দেখে উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আপ্লুতও হয়েছেন। জনগণের স্রোত ও ভালোবাসা দেখে বাধা, হামলা, হুমকী-ধামকি, মামলা-গ্রেফতার সত্তে¡ও নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাননি কোন প্রার্থীই। ফলে গতকাল প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্তও রাজধানীতে ছিল ধানের শীষের পক্ষে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল। বিএনপির প্রার্থীদের প্রতি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলেও দাবি করছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূলের নেতারাও। তবে একই সাথে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভোট নিয়ে। বিশেষ করে বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে অনীহা, ভোটের আগের রাতে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়া, ইভিএমে নিঃশব্দ ভোট চুরির সম্ভাবনা ভাবাচ্ছে বিএনপিকে। তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন বলেন, প্রচারণায় বিএনপি ও ধানের শীষের পক্ষে তারা গণজোয়ার দেখেছেন। এখন ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারে তাহলে তাদের বিজয় নিশ্চিত।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ সারাদেশে জেলা কমিটি করে লঞ্চ ভরে ঢাকায় লোক আনতেছে। তারা পুরো ঢাকা শহরে এ কাজটি করছে। আমি খুব শঙ্কিত যে, তারা ভোটের দিন কি করতে চাচ্ছে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা সকল ভোটারদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, কেন্দ্রে গিয়ে আপনারা ভোট দেবেন। এর বাইরে আমাদের সকলকে চেষ্টা করা হবে ভয়-ভীতি দেখানো জন্য। আমরা যেন ভয়ভীতিতে হার না মানি, মাথানত না করি। ভয়কে জয় করে আমরা মাথা উঁচু করে আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, নতুন ঢাকা গড়ে তোলার রক্ষার উদ্দেশ্যে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে কারাগার থেকে মুক্ত করতে ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দেব। আপনারাও ভোট দেবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা এবং উদাসীনতায় ও সরকারের নির্দেশে কাজ করার কারণে এই নির্বাচনও দলীয়করণ করা হয়েছে-যা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। হাজারো নির্বাচন বিধি লংঘনের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। ঢাকা মহানগীর দুই সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদ্বয় ক্রমাগত নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছে, রঙিন পোষ্টার, বিরোধী দলের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, ফুটপাথের ওপর নির্বাচনী অফিস নির্মাণ, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বেআইনীভাবে গ্রেফতার এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উস্কানিমূলক বক্তব্য, নির্বাচনের পরিবেশকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিকে নিয়ে গেছে।
রাজধানীতে বিএনপির অবস্থান জানান দিয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গত ১২ বছর ধরে রাজধানীতে বিএনপির জনপ্রিয়তা সম্পর্কে নেতাদেরই নেই কোন ধারণা। কিন্তু এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ, বাধা-হামলা সত্তে¡ও প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ায় বদলে গেছে ঢাকার রাজনীতির চিত্র। প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এবং বিএনপির প্রতি মানুষের ভালোবাসায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ধানের শীষের প্রচারণায়। গত ১০ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়। প্রথম দিন শুক্রবার উত্তর সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উত্তরা কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুম্মার নামাজ আদায় করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। ২১ দিনের প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। প্রচারণার প্রতিটি দিনই বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অলিতে, গলিতে পায়ে হেটে প্রচারণা চালিয়েছেন। অভিজাত এলাকা থেকে পাড়া-মহল্লা, ধনী-দরিদ্র, কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক সকলের দ্বারে দ্বারে গিয়ে চেয়েছেন ভোট। ভোটাররাও প্রার্থীদের কাছে পেয়ে শুনিয়েছেন নিজেদের দুঃখ, দুর্দশার কথা, জানিয়েছেন নিজের এলাকার নানা সমস্যাও। বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজধানী ও রাজধানীরবাসীর সমস্যা সমাধানের। তাবিথ ও ইশরাক প্রচারণাকালে রাজধানীবাসীর কাছ থেকে যেসব সমস্যা শুনেছেন তার ভিত্তিতে দিয়েছেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহারও। তুলে ধরেছেন কিভাবে তারা নগরবাসীর সমস্যা সমাধান করবেন।
গণজোয়ার দেখে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে বিভিন্ন দিক থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন গণসংযোগ শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। গ্রেফতারকৃত আরিফকে পুলিশ আপনার ব্যক্তিগত সহকারি বলে প্রচার করছে- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমার কোন ব্যক্তিগত সহকারি নাই। আমি বিএনপি থেকে নির্বাচন করছি। এখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীর আসছেন। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে এবং প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আর এসব বিষয় নিয়ে বাহিরে কে কি বললো এটা তো আমি বলতে পারব না। ধানের শীষের পক্ষে যে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনের দুই দিন আগে সেটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্যই সুপরিকল্পিতভাবে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ইশরাক বলেন, গতকাল রাতে আমাদের দক্ষিণের যুবদলের সভাপতির বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের প্রচারণায় হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন অভিযান চালাচ্ছে।
নির্বাচনী এজেন্ট দেয়ার বিষয়ে কোনো সমস্যা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচারণায় বাধা এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে আমাদের ব্যতিব্যস্ত রাখা হয়েছে। তারপরেও আমরা সবকিছু সম্পন্ন করেছি। পোলিং এজেন্ট নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা হবে না। সেন্টার পরিচালনা কমিটি নিয়েও কোনো সমস্যা নেই। আমাদের দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী পুরোপুরি মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহযোগিতা করার জন্য যা যা করা দরকার তার সব কিছুই করা হবে।
ভোটারদের ভালোবাসায় সিক্ত খোকার সহধর্মিনী: প্রচারণার শেষ দিনে ইসলামপুরসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহধর্মিনী ইশমত আরা। গণসংযোগকালে মরহুম সাদের হোসেন খোকার প্রতি ভোটারদের ভালোবাসায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে পুরানো ঢাকার শাঁখারীবাজার মোড় থেকে প্রচারণা শুরু করে নবাববাড়ি, ইসলামপুর, পাটুয়াটুলী, সদরঘাট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন তিনি।
এসময় ভোটারদের ইশমত আরা বলেন, আপনাদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত। আপনারা আমাকে ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা কখনও ভুলবো না। আমার ছেলে মেয়র নির্বাচিত হলে আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান অবশ্যই দিব। এসময় ছেলের জন্য ভোট ও দোয়া চান তিনি।
মরহুম স্বামী সাদেক হোসেন খোকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকার সাবেক মেয়র ছিলেন। তিনি আপনাদের সুখে-দুখে আপনাদের পাশে ছিলেন। আমার ছেলে ইশরাক হোসেন আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। আপনারা তাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন। যাতে করে আমার ছেলে তার বাবার দেখানো পথে চলতে পারে এবং আপনাদের সেবা করতে পারে।
ইশরাক হোসেনর মা বলেন, এখন আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই সময়ে মানুষের যে সেবা প্রয়োজন ইশরাক সেই ধরনের সেবা দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি। তিনি ঢাকাকে আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে সক্ষম হবে। তার জন্য দরকার আপনাদের সহযোগিতা।
পুরান ঢাকার দোকানদার এবং কর্মচারীগণ ইশরাক হোসেনর মাকে দেখে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। এসময় অনেক দোকানের কর্মচারী ‘ধানের শীষ, ধানের শীষ’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পুরান ঢাকার ভোটার এবং ব্যবসায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন ইশরাকের মা।
এসময় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ‘খালেদা জিয়ার সালাম নিন- ধানের শীষে ভোট দিন; ধানের শীষে দিলে ভোট- শান্তি পাবে দেশের লোক; মাগো তোমায় একটি ভোটে- খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে’ ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে পুরানো ঢাকার অলি গলি মুখরিত করে তোলে।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি নেত্রী মমতাজ চৌধুরী টুটু, কৃষক দলের সদস্য কেএম রিপন, ইশরাকের ছোট ভাই ইশফাক হোসেন, মামা, মামি, ফুফু, চাচি এবং পুরানো ঢাকার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা।
ভয়কে জয় করে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান: উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলেন নানা কর্মসূচিতে। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকালে প্রচারের শেষ মুহূর্তে কয়েকটি পথসভা ও মিছিলে অংশ নেন ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, প্রচারণায় সেটি আরো বেড়েছে। আমরা বিশ্বাস করি মানুষ ভোট দিতে পারলে ধানের শীষ ব্যাপকভাবে জয়ী হবো। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু রাখার জন্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনসহ যারা নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আগামী ৪৮ ঘন্টা তারা এমন পদক্ষেপ নেবেন যাতে সাধারণ ভোটাররা সন্তুষ্ট থাকে এবং ভয়ভীতি ছাড়া ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে ও ভোট দিতে পারে।
মগবাজার থেকে কারওয়ানবাজার হয়ে মোহাম্মদপুর যান ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ। পথে পথে নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানায়। তিনি হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানান। মোহাম্মদপুরের পথসভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার শঙ্কা যেমন আছে, আমাদের প্রস্তুতিও তেমন আছে। আমরা বলছি যে, আমাদের প্রতিপক্ষরা যথেষ্ট চেষ্টা করবে, ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটারদের দূরে রাখতে, ভোটার উপস্থিতি কমিয়ে রাখতে। আমাদের শক্তি জনগণ। আমরা জনগণকে নিয়ে ভোট কেন্দ্র রক্ষার চেষ্টা করবো।’
তাবিথ বলেন, আমরা সকলে প্রস্তুত বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। সবাই সকালে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, নির্ভয়ে ভোটটা দেবেন। কোনো ভয় ভীতিতে মাথানত করবেন না, কোনো গুজব আপনারা শুনবেন না। প্রতিপক্ষের (আওয়ামী লীগ) একটাই হাতিয়ার সেটা হচ্ছে আমাদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বিমুখ করে রাখা। ভোটার উপস্থিতি কমিয়ে রাখা। আমরা সেটা হতে দেব না। আমরা ভোট দেব। ভোট দিয়ে ধানের শীষ মার্কাকে জয় যুক্ত করবো। এই মার্কাকে জয়যুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্র জয় যুক্ত হবে। ভোটের অধিকার ফিরে পাব। খালেদা জিয়ার পক্ষে জনগণ চূড়ান্ত রায় দেবে, তাকে আর কারাগারে রাখা যাবে না। আমরা মনোবল শক্ত করে ভোট কেন্দ্রে যাব এবং ধানের শীষ মার্কায় ভোট দেব।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।