Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইশরাকের প্রচারে গুলি চালানোর ঘটনায় এক ব্যক্তি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৮:৫০ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

রাজধানীর গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আরিফুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার হওয়া আরিফুল ইসলাম বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের এপিএস বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
তিনি জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর হাতিঝিল থানার মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি বরিশালে। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা। আবদুল বাতেন জানান, গ্রেফতার হওয়া আরিফুল ইসলামের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সংঘর্ষের দিন গুলি করার কথা স্বীকার করে। তিনি আরো জানান, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়ারী থানার গোপীবাগ এলাকায় ইশরাক হোসেনের প্রচারণা চলাকালে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও তদন্ত শুরু করে। এ সময় নানা ধরনের তথ্য অবতারণা হয়। যে কারণে ওই ঘটনার সেই অস্ত্রধারীকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়ার আগে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, সংঘর্ষের দিন গুলিবর্ষণকারী ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র সংগ্রহ করা হয়। তবে তার মুখমন্ডল, পরিহিত জামা-কাপড়, জুতা, হেলমেট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়াও গুলিবর্ষণের কিছুক্ষণ আগে ধারণকৃত স্থিরচিত্রের সাথে হেলমেটবিহীন ছবিতেও মিল পাওয়ায় আরিফুল ইসলামকে সনাক্ত করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি তিনিই সেই ব্যক্তি। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত গুলির খোসার সাথে জব্দকৃত গুলির মিল রয়েছে। পরে তাকে ওয়ারী থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতার হওয়া আরিফুলের ব্যবহৃত অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে বৈধ অস্ত্র যদি কেউ অবৈধভাবেও ব্যবহার করেন, তাহলেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
বহিরাগতদের নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে’ বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচনে ঢাকায় কে বহিরাগত আর কে স্থানীয় বাসিন্দা তা চিহ্নিত করা খুবই কষ্টসাধ্য। আসলে আমরা কোনো বহিরাগতকে গ্রেফতারে অভিযানে নামিনি। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচনী পরিবেশ যেন বজায় থাকে, নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে সেদিকেই লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কে কোন রাজনৈতিক দলের তা আমাদের দেখার বিষয় নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা কী বললেন সেটাও দেখার বিষয় না। কোনো ব্যক্তি সন্ত্রাসী হলে সেটা নির্বাচনের আগে কী আর পরেই কী, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে। তবে নির্বাচনে পুলিশের অতিরিক্ত মুভমেন্ট তো থাকেই। কোনো ব্যক্তি বা দল কিংবা সংগঠন, প্রার্থী কিংবা সমর্থক যেই হোক নির্বাচন পরিপন্থী কিছু করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ