পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতা বিরোধীরা ও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে যে শক্তিগুলো জড়িত ছিল তারা সবসময় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও নির্বাচনকে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত করতে চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যত চেষ্টাই করুক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে যাবে। গতকাল দুপুর ১২টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ শতভাগ আশাবাদী। কারণ আওয়ামী লীগ যে ২ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে তারা সর্বাধিক উত্তম প্রার্থী। ঢাকাকে উন্নত নগরীতে রূপান্তরিত করার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠিতে আতিকুল ইসলাম ও শেখ তাপস শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকা উত্তর সিটি আগে আবর্জনার নগরী ছিল কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে আনিসুল হক ও তার পরবর্তীতে আতিকুল ইসলামের চেষ্টায় আবর্জনা অনেকটা দূর হয়েছে। শেখ তাপস একজন সফল সংসদ সদস্য হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মানুষের ব্যাপক প্রশংসা ও সমর্থন অর্জন করেছে। তাই জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ শতভাগ আশাবাদী।
মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড একটা আপেক্ষিক শব্দ। বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলেন কিন্তু তারা তো তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিয়েছিলন। বিএনপির এক সময়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কে.এম হাসানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানানোর জন্য চেষ্টা করেছে এবং বেগম জিয়ার নির্দেশে তৎকালীন সময়ে উপদেষ্টামন্ডলী গঠিত হয়েছিল যার বিরুদ্ধে গোটা জাতি অবস্থান নিয়েছিল। এছাড়া বিএনপির প্রার্থীরা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাচ্ছে, মাঠে ময়দানে কাজ করছে। যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকতো তাহলে তারা এই কাজগুলো কিভাবে করছে। তাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা তাদের মুখে মানায় না।
এ সময় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র লিয়াকত আলী লেকু, জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার, গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে ফজলুল হক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, ইউএনও নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা প্রকৌশলী হাসান ইবনে মিজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলায় এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। বিকালে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।