পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সহসভাপতি, দেশের প্রখ্যাত আলেম, শিক্ষাবিদ, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব ও জামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ’র জানাজা গতকাল দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক লাখ মুসল্লি জানাজায় অংশ নেন। তার মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জানাজার পূর্বে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান, মুফতি মো. ওয়াক্কাছ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, গুলশান মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাছান, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সাবেক ইমাম মাওলানা আবুল খায়ের সাইফুল্লাহ, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, কলামিষ্ট ও সাংবাদিক মাওলানা শরীফ মাহমুদ, আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ এর ছোট ভাই আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সাব্বির আহমেদ রশিদ, শাইখুল হাদিস মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা শুয়াইব বিন রউফ প্রমুখ।
জানাজার নামাজ শেষে মরহুমের লাশ তারাপাশা নুরানী মাদরাসা সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে মাওলানা আনজার শাহ তানীম। এ সময় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা এ কে এম আশরাফুল আলম, অধ্যাপক এতেহশাম সরওয়ার, মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ, প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক লাখ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর শোক
এদিকে, দেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
এক শোক বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ ছিলেন দেশের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন একজন যোগ্য শিক্ষক ও অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক। দ্বীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে মরহুমের বিশেষ অবদানের কথা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী ও নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীও মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। এছাড়া বেফাকের মহাসচিব আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মহাপরিচালক আল্লামা যোবায়ের আহমাদ চৌধুরী, সহকারি মহাসচিব মাওলানা মাহফুযুল হক ও মুফতি নূরুল আমিনও মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আমাদের টঙ্গী সংবাদদাতা জানান, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আযহার আলী আনোয়ার শাহ এর ইন্তেকালে টঙ্গীতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে টঙ্গীর গাজীপুরা বাইতুল মামুর জামে মসজিদে এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুফতি শাহ মো. হাফিজ উদ্দীন নূরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শাহ মো. মিসবাহ উদ্দীন নূরী, মাওলানা ক্বারী হাবিবুর রহমান, ক্বারী মাওলানা আবু হানিফা সিকদার, মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন, মুফতি শামিম আহমেদ কাসেমী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ খাকী, মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ। শোক সভায় বক্তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।