Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুলের ছড়াছড়ি উচ্চতর গণিতে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিপাকে

মো. নূরুল ইসলাম, বেতাগী (বরগুনা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:৪০ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বেতাগীতে নবম-দশম শ্রেণির ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভুলে ভরা উচ্চতর গণিত বই সরবরাহ করা হয়েছে। এতে এ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান বিভাগের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীরা বিপাকে রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জানা যায়, এ উপজেলার ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি দাখিল পর্যায়ের মাদারাসা রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকের ১৬টি বিদ্যালয় এবং মাদারাসা পর্যায়ের ২টিতে বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। এ উপজেলার বিদ্যালয়সমূহে গত ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই সরবরাহ করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় শিক্ষার্থীর মাঝে গত ১ জানুয়ারি নতুন বই তুলে দেয়া হয়। নতুন বই পেয়ে আনন্দে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে নবম-দশম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের ১৮৯ পাতা থেকে ২২০ পাতা পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের অংশগুলো ছাপানো হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রণীত নবম-দশম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের নবম অধ্যায়ের ১৮৯ পাতা থেকে ২২০ পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত ‘সূচকীয় ও লগারিদমীয় ফাংশন’ বাদ পরে যায়।
এছাড়াও বাদ পরা অংশে ১৮৯, ১৯০, ১৯১ ও ১৯২ পাতায় ৮ম অধ্যায়ের ত্রিকোণোমিতির অংশ সংযুক্ত ছিল। উচ্চতর গণিত বইয়ের বাদ পরা ১৮৯ পাতা থেকে ২২০ পাতা পর্যন্ত অংশে ভুলবশত মাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের কিছু অংশ সংযোজন করা হয়েছে। যা বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত ঐচ্ছিক বিষয়ের শিক্ষার্থীদের অপ্রয়োজনীয় অংশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উচ্চতর গণিত বই বিষয়টি মাধ্যমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়।
এ ব্যাপারে পুটিয়াখালী আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুক বলেন, এ শিক্ষাবর্ষের নবম-দশম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বই শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের সময় ভুলগুলো দেখতে পাই এবং প্রধান শিক্ষককে অবহিত করি।
এ ব্যাপারে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক কর্মকার ও সুরাইয়া আক্তার জানায়, ত্রুটিযুক্ত এ ধরণের উচ্চতর গণিত বই আমরা চাই না, শিগগিরই আমরা সংশোধিত নতুন বই চাই। এ বিষয় প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, ত্রুটিপূর্ণ বইয়ের তথ্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অবহিত করেছি এবং শিগগিরই ত্রুটিমুক্ত নতুন বই বিতরণের আশ্বাস পাওয়া গেছে।
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান বলেন, ত্রুটিযুক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন এবং শিগগিরই এর সমাধান করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্চতর গণিত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ