পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও রাজনেতিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরী সংঘাতের আশংকা করছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে। সেই আশঙ্কা থেকে তারা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকাতে মাঠেও নেমেছে। নজরদারির পাশাপাশি চালানো হচ্ছে অভিযান।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের আগে, ভোট গ্রহণের দিন ও পরের কয়েকদিন অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকানোটাই এখন তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই সুস্থ ও সুন্দর ভোটের পরিবেশ বজায় থাকবে। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে পৃথক দু’টি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আইন-শৃংখলা রক্ষায় অবৈধ অস্ত্রধারী ও আইন অমান্যকারীদের কঠোর হস্তে দমনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই সূত্র আরো জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে বিশেষ অভিযানে নামছে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী। এ সময় অভিযানের মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতসহ বিভিন্ন মামলার দাগি আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। একই সাথে ভোট কেন্দ্রে কেউ বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলেও কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটকে সামনে রেখে আইন-শৃংখলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। ভোট গ্রহনের আগে, ভোটের দিন বা ভোটের পরে কেউ বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরাধী যেই হোক এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সূত্র জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর টিকাটুলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা যায়। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র বলছে, সংঘর্ষের সময় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। কারা কী কারণে গুলি চালিয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে এরই মধ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে যেন কেউ বাধা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য মহানগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সারাদেশে ৮০ জন বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী ছাড়াও কারা অবৈধ অস্ত্রের কেনাবেচা করে, তাদের তালিকা করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এমনকি দেশের কোন কোন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের চালান ঢাকায় আসে, সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, নির্বাচনকে ঘিরে দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করতে পারে এমন ৩১টি পয়েন্ট শনাক্ত করেছে ডিবি পুলিশ। পয়েন্টগুলো হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, হিলি, বেনাপোল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা, উখিয়া, রামু, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রাউজান, সেন্টমার্টিন, স›দ্বীপ, সীতাকুন্ড, রাঙ্গুনিয়া, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ির রামগড় ও সুদারামপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, আখাউড়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, নেত্রকোনা ও সিলেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাবশালী অনেকেই নিজ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য সন্ত্রাসীদের ভাড়া করতে পারেন। এমনকি তারা ঢাকার বাইরের কোনো কোনো সন্ত্রাসীকে ঢাকায় এনে ভোটের দিন প্রভাব বিস্তার করাতে পারেন।
গত ২৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর লালবাগের শেখ সাহেব বাজার রোড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আশিকুর রহমান নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, সিটি নির্বাচনে প্রভাব বিন্তারের জন্য ঢাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসীর কাছে বেনাপোল সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্র এনে সরবরাহ করছিল। ওইসব অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছানোর আগেই ডিবি তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এদিকে, গত ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত কেউ বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করতে পারবেন না। আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকাতে গোয়েন্দা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। সন্দেহভাজনদের তালিকা করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কয়েকটি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।