পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের কারাগারগুলোতে নানা অভিযোগে রয়েছেন অনেক নারী বন্দি। নারী বন্দিদের অনেকের সঙ্গেই আছে শিশু সন্তান। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারগুলোতে বন্দি মায়েদের সঙ্গে ছয় বছরের কম বয়সী ৩৫১টি শিশু রয়েছে। এসব শিশুর মধ্যে ১৭২টি ছেলে ও ১৭৯টি মেয়ে শিশু রয়েছে। ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত এ হিসাব জানা গেছে। কারাগার সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
কারা অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, কারা বিধান অনুযায়ী, ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের মায়ের সঙ্গে কারাগারে অবস্থানের সুযোগ আছে।
সেই সুবাদে বন্দি মায়ের সঙ্গে অনেক শিশুর শৈশবও কাটছে কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে। এতে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বৈরী পরিবেশের স্মৃতি নিয়ে তারা কারাগার থেকে রেবর হচ্ছে। শিশু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারাগারে মায়ের সাথে শিশু বন্দি অবস্থায় বেড়ে উঠলে ওই শিশুর পরবর্তী জীবনে এর প্রভাব পড়বে। মুক্ত পরিবেশে ওই মিশুদের বেড়ে উঠার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া তারা শৈশবের অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এই শিশুরা যখন কারাগারের বাইরে আসে, তখন তারা তেমন আচরণই করে। তাছাড়া মা সম্পর্কেও শিশুর একটি নৈতিবাচক ধারণা জন্মাতে পারে।
শিশুদের কারাগারে রাখার বিষয়ে কারা অধিদফতরের ডিআইজি প্রিজন্স (সদর দফতর) টিপু সুলতান জানান, যেসব মা তাদের সন্তানদের নিজেদের কাছে রাখতে চান, শুধু তাদের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ছয় বছরের নিচে হলে সঙ্গে রাখার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের সুন্দর পরিবেশে রাখা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করে থাকে কারা কর্তৃপক্ষ। ছয় বছর পার হয়ে গেলে সেই শিশুকে বাইরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেক্ষেত্রে যদি বাইরে কোনও স্বজন না থাকে, তাহলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী পদক্ষেপ তারা নিয়ে থাকেন। এছাড়া, ছয় বছরের বেশি ও ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের কারাগারে রাখা হয় না। এই বয়সী শিশু-কিশোরদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কারা সূত্র জানায়, ৩৫১টি শিশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলোতে ১০৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগের কারাগারগুলোতে ১২৩টি, সিলেট বিভাগের কারাগারগুলোতে ২৩টি, রাজশাহী বিভাগের কারাগারগুলোতে ৪১টি, রংপুর বিভাগের কারাগারগুলোতে ১৭টি, খুলনা বিভাগের কারাগারগুলোতে ২৬টি, বরিশাল বিভাগের কারাগারগুলোতে ৬টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কারাগারগুলোতে ১২টি শিশু তাদের মায়েদের সঙ্গে অবস্থান করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৬বছরের কম বয়সী শিশুরা সাধারণত মায়েদের সঙ্গেই কারাগারে অবস্থান করে। মায়ের সঙ্গে কারাগারে যাওয়ার পরপরই সং¤িøষ্ট শিশুর নাম ও বয়স রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা হয়। শিশু তার মায়ের সঙ্গেই নির্ধারিত সেলে থাকে। প্রয়োজন হলে কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। শিশুদের দায়িত্বে থাকেন একজন নারী ডেপুটি জেলার। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের খাবার-দাবার ও প্রয়োজনীয় পথ্যও দেওয়া হয়। ডে-কেয়ারে শিশুদের খেলাধুলার সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।