বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ড. মোঃ আব্দুল ওহাব-কে।মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় জারিকৃত আদেশ বলে তিনি বারি’র মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আগামী ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে তিনি বর্তমান মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রটোকল অফিসার মো. আল-আমিন মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর আগে ড. মো. আব্দুল ওহাব বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতিপূর্বে তিনি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রহমতপুর, বরিশাল এ কর্মরত ছিলেন। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি প্রেষণে ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. মো. আব্দুল ওহাব ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। বিএআরআই এর প্রধান কার্যালয় ছাড়াও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, জামালপুর ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রহমতপুর এ প্রায় ১০ বছর সফলভাবে কৃষকের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ করেন।
সফল বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন বিশেষজ্ঞ হিসাবে সিমিট, প্র্যাকটিকেল একশন এ কাজ করেন। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নালে তাঁর ২৬টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামে যোগদানের উদ্দেশ্যে জাপান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, আমেরিকা ভ্রমণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ২ সন্তানের জনক এই বিজ্ঞানী রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সদস্য। তিনি সফল বিজ্ঞানী হিসাবে বিএআরআই ও ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তিনি দেশের কৃষকের উপযোগী খামার যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি ১০টি কৃষি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন যার অধিকাংশই এখন পর্যন্ত কৃষক ব্যবহার করছেন। তাঁর গবেষণালব্ধ জ্ঞান/অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (IFDC) ২০১১ ইং সাল থেকে ২০১৫ ইং সাল পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী (কৃষি প্রকৌশল) হিসাবে নিয়োগ দেন। তিনি IFDC তে গবেষণা কাজ করার সময় ২ ধরনের মাটির নিচে গুটি সার প্রয়োগ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবিত সার প্রয়োগ যন্ত্র IFDC এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারিত হয়। সেনেগালের একটি কৃষি মেলায় IFDC এর স্টলে ২০১৩ সালে গুটি সার প্রয়োগ যন্ত্র প্রদর্শিত হয় যা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নজরে আসে। বাংলাদেশী এ বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনকে তিনি ভূয়সী প্রসংশা করেন যা দেশী বিদেশি অনেক পত্রিকায় প্রকশিত হয়।
ফসল উৎপাদনে সার সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে মাটির নিচে গুটি সার প্রয়োগ যন্ত্র উদ্ভাবনে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ সালে IFDC এর প্রেসিডেন্ট ড. মো. আব্দুল ওহাবকে Award প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেন যা তিনি IFDC এর প্রধান কার্যালয়, আলাবামা, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের হাত থেকে গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।