বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশএর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আলিয়া মাদরাসার দাখিল নবম দশম শ্রেণির ইসলামের ইতিহাস বইয়ে বেশ কয়েকজন সাহাবিকে নিয়ে বিদ্বেষ ও বেয়াদবিমূলক কথাবার্তা সন্নিবেশিত থাকায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তা অবিলম্বে সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, বইটি ঘেঁটে দেখা যায়, কাতিবে ওহি হজরত মুআবিয়া (রা.) ও হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) সম্পর্কে বেশ কয়েক জায়গায় বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। তাঁদের চরিত্রহনন করা হয়েছে খুবই নির্মম শব্দে। এক জায়গায় উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) সম্পর্কেও বিষোদগার করা হয়েছে। যা শরীয়তের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
তিনি বলেন, বইটির ১৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় হজরত মুআবিয়া (রা.) সম্পর্কে বলা হয়, হজরত উসমান (রা.) হত্যার প্রতিশোধ ও বিচারের অজুহাতে গৃহযুদ্ধের সূচনা করেন হজরত মুআবিয়া (রা.)। অবশেষে আমিরে মুআবিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে খিলাফতের পরিবর্তে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। বইয়ের ১৫২ নং পৃষ্ঠায় মুয়াবিয়া ছিলেন অত্যন্ত ক্ষমতালোভী ও উচ্চাভিলাসী। তিনি হযরত উসমান (রা) এর হত্যাকে অব্যর্থ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে স্বীয় অভীষ্ট সিদ্ধি সাধনে তৎপর ছিলেন। বইটির ১৪৯, ১৫১, ১৫২, ১৫৩ ও ১৫৪ নং পৃষ্ঠায় হজরত মুআবিয়া (রা.)কে স্বার্থান্বেষী সম্পদলোভী ক্ষমতালোভী উচ্চাভিলাষী স্বার্থপর ঔদ্ধত জঙ্গি মনোভাবাপন্ন চক্রান্তকারী পরিস্থিতি ঘোলাটেকারী অপরাজনীতিবিদ ভোজবাজ ও নিকৃষ্টতম শঠ বলা হয়েছে।
সিফফিন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়, মুয়াবিয়ার ঔদ্ধত্য ও জঙ্গি মনোভাবের পরিবর্তন না হওয়ায় যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। বইটির ১৪৯ নং পৃষ্ঠায় জঙ্গে জামালের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, হযরত আয়েশা (রা.) হযরত আলি (রা.) এর প্রতি পূর্বশত্রæতা ও পূর্ববিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব থেকে এই যুদ্ধ বাঁধিয়েছেন। (নাউযূবিল্লাহ)
পীর সাহেব অনতিবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করা আমাদের সবার ঈমানি দায়িত্ব। রাসূল (সা.) বলেছেন, সাহাবীরা আকাশের তারকার ন্যায়, যে কেউ একজন সাধারণ সাহাবাীকে অনুসরণ করলেও সে জান্নাতী। সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে কুরআনের আয়াতে আল্লাহ বলেন, আমি সাহাবীদের উপর খুশি, তারাও (সাহাবীরা) আমার উপর খুশি। তিনি পাঠ্য বই থেকে এধরণের কটুক্তিপূর্ণ লেখা সংশোধন করতে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।