Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনুমতি ছাড়াই বছরে ৩০-৪০ কোটি ডলার খরচ উন্নয়ন সহযোগীদের

বিডিএফ বৈঠক শুরু কাল কৈফিয়ত চাইবে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রতিবছর উন্নয়ন সহযোগি দেশ গুলো তাদের ইচ্ছা মতো ৩০-৪০ কোটি ডলার খরচ করে। এ বিষয়ে তারা যথাযথভাবে অনুমোদনও নেয় না। বিষয়টি উন্নয়ন সহযোগিদের একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার উদাহরণ। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠকে এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগিদের কাছে কৈফিয়ত চাইবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আসন্ন অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা আলোকে উন্নয়ন দেশের মাইগ্রেশনের বিষয়েও অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রনালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। আগামীকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দু’দিনব্যাপি এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইআরডির সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ। রাজধানীর আগারগাওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিডিএফ বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
মো. মনোয়ার আহমেদ বলেন, এবারের বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগিদের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হবে। কেননা তারা প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ কোটি ডলার এদেশে ব্যয় করেন সরকারকে না জানিয়ে। যদিও তারা বলেন, এনজিও ব্যুরোকে জানিয়ে তারা এটা করেন। কিন্তু সরকারকে তো জানানো উচিত। সব সময় আমাদের অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলা হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থ উন্নয়ন সহযোগি অর্থ ব্যয়ের অস্বচ্ছতার একটি উদাহরণ বলা যায়। অন্যদেশে গিয়ে আমরা কি ইচ্ছা মতো অর্থ ব্যয় করতে পারবো?
মো. মনোয়ার আহমেদ বলেন, আমরা চাই উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে কার্যকরী অংশিদারিত্ব। তারা বলবে আমরা অর্থ ব্যবহার করতে পারি না, আর নানা অর্থ ছাড়ে ধরনের শর্ত জুড়ে দেয়। তিনি বলেন, আমরা চাই মিউচ্যুয়ালি কাজ করতে। শর্তহীন চুক্তি থাকা দরকার।
রোহিঙ্গা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গার বিষয়ে মায়ানমার চুক্তি করেছে যে, তাদের ফিরিয়ে নেবে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে একটা রায়ও হয়েছে। যদিও রোহিঙ্গা আমাদের উন্নয়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, কিন্তু তারপরও এবারের বিডিএফ-এ এই ইস্যু রাখার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মো. মনোয়ার আহমেদ বলেন, এতদিন বিডিএফ’র ফলাফল মনিটরিং করা না হলেও এবাররের বৈঠকের পর থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। তিনি বলেন, এবারের বৈঠকটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। ৩০-৪০টি উন্নয়নসহযোগি সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ও এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জাপানের সংস্থা জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেন, এবারের বৈঠকের মূল শ্লোগান হচ্ছে ‘ইফেকটিভ পার্টনারশীপ ফর সাসটেইনএ্যাবল ডেভলপমেন্ট’। বৈঠকের মূল অধিবেশনের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৮টি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈঠকে আসন্ন অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার রুপরেখা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের পদক্ষেপগুলো তথা বিভিন্ন আর্থসামাজিক অগ্রাধিকার খাতে সরকারের মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগে প্যারিস কনসোর্টিয়াম নামে এ বৈঠক হতো। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে প্যারিস ডিক্লারেশনে বলা হয় লিডার এন্ড ওনারশিপ। তারপর তৈরি হয় লোকাল কন্সালটেটিভ গ্রুপ। সেখান থেকে পিআরএসপি ফোরাম এবং ২০১০ সালে গঠন করা হয় বিডিএফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ