Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাবিতে সাইকেল চুরি করে ১ হাজার ৬০০ টাকার বিক্রি করে দিল ছাত্রলীগ কর্মী

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৬ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ্ হল থেকে চুরি হয়ে গেল একটি সাইকেল। আর সেই চুরির ঘটনায় ক্যাম্পাদের ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় কৃষ্ণ বণিক জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছেন হল প্রশাসন।

ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় কৃষ্ণ বণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী হয়েও ২১৭ নম্বর কক্ষে থাকছেন।

গত শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের প্রথম ব্লকের ১০২ নম্বর কক্ষের সামনে থেকে শিক্ষার্থী তরিকুল রহমান তারেকের সাইকেল চুরি হয়।

ওইদিনই সাইকেল চুরি যাওয়ার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারেক।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে সনাক্ত করে হল প্রশাসন।

হল প্রশাসন জানিয়েছে, শিমুল আহমেদ নামে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকায় এক বাসিন্দা সাইকেলটি চুরি করেছেন। তিনি বহিরাগত।

এরপরই অভিযুক্ত চোরকে মতিহার থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় হল প্রশাসন।

ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার দুপুর ১২টা ৫৭মিনিটে বিজয় ও ‘চোর’ শিমুল হলের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর তারা দুজনে একসঙ্গে হেঁটে ওয়াশরুমে যায়। মাত্র এক মিনিট পরে একসঙ্গেই ওয়াশরুম থেকে ফিরে আসে দুজন। ১০২ নং কক্ষের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোরকে ’সেই কক্ষের সামনে রাখা সাইকেলটি দেখিয়ে দেয় বিজয়।

আবার দুপুর ১টা ১মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে সেই চোরের সঙ্গে দেখা যায় ছাত্রলীগ কর্মী বিজয়কে।

ফুটেজে দেখা যায়, তারা দুজনে হলে প্রবেশ করে। এসময় বিজয় হলের গেস্টরুমে প্রবেশ করার পর পর শিমুল সাইকেলে চড়ে বসেন এবং এটি চালিয়ে দ্রুত হল থেকে বেরিয়ে যান।

এদিকে আটক শিমুলকে জিজ্ঞাসাবাদে চুরির সঙ্গে বিজয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান জানান, বহিরাগত শিমুল আহমেদকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় কৃষ্ণ বণিক সাইকেলটি চুরি করেছে। চুরির পর সাইকেলটিকে এক হাজার ছয়শ টাকায় বিক্রয় করেছে বলে স্বীকার করেছে তারা।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ