Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষি অর্থনীতির সর্বনাশের আশঙ্কা

উত্তরের হাওয়ায় কাঁপছে দক্ষিণাঞ্চল

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দক্ষিণাঞ্চল। স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রার পারদ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি নিচে নেমে যাবার সাথে উত্তরের হাওয়ায় জনজীবনের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। এবার লাগাতর মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে দক্ষিণাঞ্চলে ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাধির প্রকোপ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। যা সম্প্রতিককালে সর্বনিম্ন। গত ক’দিন ধরে তাপমাত্রা হ্রাসের সাথে উত্তরের হাওয়ায় জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। সাথে শেষরাত থেকে মাঝারি কুয়াশা অনেক বেলা অবধি সূর্যকে আড়াল করে রাখছে। ফলে শীতের অনুভুতি আরো বাড়ছে।

এবার ডিসেম্বরের শেষ দিকে বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে হ্রাস পেলেও গত দু’দিন তা এক অংকে নেমে এসেছে। শনিবার বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রোববার সকাল ৬ টায় তাপমাত্রার পারদ দশমিক ১ ডিগ্রি বেড়ে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির হয়। গত বুধবার বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার তা ১২.২ ডিগ্রি। শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ ১২ ডিগ্রির ওপরে থাকলেও শনিবার তা প্রায় ৩ ডিগ্রি হ্রাস পেয়ে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির হয়। রোববার সকালে তাপমাত্রা দশমিক ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে এবার শীতে আবহাওয়ার বৈরি আচরণে দক্ষিণাঞ্চলে জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থায়ও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ইতোমধ্যে ঠান্ডাজনিত নানা রোগব্যাধি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ১০ সহশ্রাধিক মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়াও শীতকালিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে আরো প্রায় দশ হাজার মানুষ। যাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। তাপমাত্রার পারদ নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো বীজতলা যেমন ‘কোল্ড ইনজুরি’তে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি গোল আলুর জমিও ‘লেট বøাইট’ নামে এক ধরনের ছত্রাকবাহি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহে শীতকালিন সবজির গুনগত মানও বিনষ্ট হচ্ছে। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে আরো প্রায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে দক্ষিণাঞ্চলের আমন ও রবি ফসলসহ শীতকালিন শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিকট অতীতের ঐসব প্রকৃতিক বিপর্যয়ের পর চলমান শৈত্যপ্রবাহে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষক ও কৃষি অর্থনীতির দুরবস্থা চুড়ান্ত পর্যায়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ