Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসির ভেতরেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই

সাংবাদিকদের ইসি মাহবুব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ইসিরনর অভ্যন্তরেই কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমার বক্তব্য প্রদানের স্থান সঙ্কুুচিত হয়ে পড়েছে।

গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মাহবুব বলেন, এই নির্বাচনে ইসির যেভাবে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে না। সিডিউল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩টি কমিশন সভা হয়েছে। এসব সভায় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি, অনিয়ম বা প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি। কোনো কমিশন সভায় এসব বিষয় এজেন্ডাভুক্ত ছিল না।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আগামীকাল ইসির যে সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতেও ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বিষয় এজেন্ডাভুক্ত নয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই নির্বাচন সম্পর্কে গত ৯, ১৩, ১৬ ও ২০ জানুয়ারি চারটি ইউ নোট দিয়েছি। তা রীতিমত উপেক্ষা করাসহ আমলেই নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি প্রদত্ত ইউ নোটে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তথ্যাদি জানাতে বলেছিলাম। এসব অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারির মধ্যে পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে। কোনো তথ্যই সরবরাহ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ইসিতে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষ থেকে আসন্ন সিটি নির্বাচন সম্পর্কে যে সব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বা অভিযোগপত্র প্রেরিত হয়েছে, তা নিয়ে কমিশনে কোনো প্রকার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এসব অভিযোগের পেছনে যে অসন্তোষ আছে, তা বিস্ফোরিত হলে সিটি নির্বাচন যথোপযুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে না, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর দায়ভার ইসিকে বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসির সভায় আমার প্রস্তাব বা সুপারিশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অগৃহীত হয়। আমাকে সংখ্যালগিষ্ঠ হিসেবে না দেখে আমার বক্তব্যের বিষয়বস্তুর মেরিটকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে মনে করি। আমার ধারণা কমিশন সভায় আমার বক্তব্য প্রদানের স্থান সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।

বক্তব্য প্রদানের স্থান সঙ্কুচিত হওয়ায়, কোনো সিদ্ধান্তের (পদত্যাগ) দিকে যাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে কী করবো। একটি দলের পারপাস সার্ভ করার জন্য বসেছেন এবং আপনার পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করেছে সরকারের ভেতর থেকে-এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন? জবাবে তিনি বলেন, যে কেউ যেকোনো কিছু বলতেই পারেন। যেকোনো তকমা আমার পেছনে লাগানো হতে পারে। কিন্তু যারা আমার অতীত ইতিহাস জানেন, তারা কখনোই বলবেন না-আমি কোনো নির্দিষ্ট দলের। আর আমি যে মুহূর্ত থেকে এই চেয়ারে বসেছি, সে সময় থেকে আমি কোনো দলের নই। আমার সঙ্গে কোনো মতবাদের সম্পর্ক নেই। আমি বিবেকে পরিচালিত। যারা আমাকে নিয়ে রঙ ধরাতে চান, এটা তাদের রাজনৈতিক একটা বিষয় হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ