পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধ করতে হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই’- খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নাগরিকরা। মন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিএসএফের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় ক্ষোভ আর নিন্দায় ভাসছে ফেইসবুক। সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বাংলাদেশী নাগরিকদেই সতর্ক হতে হবে মন্তব্য করে বলেন, "আসলে আমাদের চরিত্র যদি ভালো না হয় - পরের দোষ দিয়ে লাভ নেই।"
নওগাঁ জেলার পোরশা সীমান্তে গত ২২ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়। যে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে সেই এলাকার সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তার নির্বাচনী এলাকার তিন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এখানে দোষ বাংলাদেশী নাগরিকদেরই, সুতরাং সরকারের কিছুই করনীয় নেই।
ফেইসবুকে জিল্লুর রহমান লিখেছেন, ‘‘২০১১ সালে কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানি খাতুনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর বিএসএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সীমান্ত হত্যাকান্ড তারা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। আমাদের খাদ্য মন্ত্রীর কথা নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রী যোগি আদিত্য নাথের সাথে মিলে যায়।’’
ফখরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘কোন কোটায় তিনি মন্ত্রীত্বের স্বাদ নিচ্ছেন জনগণ বুঝে।দাদাদের খুশি রাখাই উনার মূল সাধনা। যদিও জাতি হিসেবে আমরা মাতাল নয় কিন্তু মন্ত্রী সাহেবের কথায় মাতলামি দৃশ্যমান হচ্ছে। সত্যি বিচিত্র একজন মন্ত্রী। দেশ ও জনগনের কোন লাভ হচ্ছে উনাকে দিয়ে? তার কথার যুক্তিতে, বাংলাদেশে অবৈধভাবে চাকুরীরত বিশ লক্ষাধিক ভারতীয় নাগরিকদেরও কি গুলি করে মারা উচিত বাংলাদেশ সরকারের?’’
‘‘আমার জানা মতে পৃথিবীর কোন দেশই নিজ দেশের জনগনের ভুলের কারণেও যদি অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীর গুলি খেয়ে মারা যায় তবুও নিজ দেশের জনগনের এই ভুল স্বীকার করেনা, আর এটাই হচ্ছে কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্বা’’ মন্তব্য সেকান্দার আলমের।
মামুন লিখেছেন, ‘‘উন্নয়নশীল দেশের জনগণ কেন গরু চুরি করতে যায়, এটাই আমার বুঝে ওঠেনা। দেশে এত খানাপিনা, কর্মসংস্থান ফাঁকা লোক নাই!আমার কিছু বুঝে ওঠেনা!’’
মিলন খান লিখেছেন, ‘‘গরু আনতে যাবে না দেশে বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করো, আর গরু আনতে গেলে কি মানুষকে গুলি করে মারতে হবে গ্রেফতার করে বিচার করা হোক তাদের, গুলি করে মারবে কেন, যতসব মাথামোটার মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে রাখছে।’’
‘‘দালাল আর তোষামোদীদের দ্বারা কখনো স্বদেশপ্রেম হয় না! এমনকি দালালি করতে গিয়ে তাদের আত্মসম্মান বোধটুকুও থাকে না! যার প্রমাণ বর্তমান সরকার পরিস্থিতি ও তাদের কথাবার্তা’’ মন্তব্য খলিলুর রহমানের।
সাইফুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘জনগণের ভোটে যদি ক্ষমতায় আসত তাহলে জনগণের কথা বলত, ক্ষমতায় আসছে ভারতের দয়ায় তাই ভারতের পক্ষে কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। দোষ ওনার না দোষ আমাদের (বাংলাদেশের জনগণের)।’’
মোহাম্মাদ হোসাইন লিখেছেন, ‘‘সীমান্তে ভারতের সাথে একমাত্র আমার দৃষ্টিতে পাকিস্তানি ঠিক আছে, তাদের একজন নাগরিক হত্যা করলে তাঁরাও পাল্টা হামলা করে। ভারতের সাথে এমন প্রতিবেশী হওয়া উচিত।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।