পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামনের কয়েকদিন চূড়ান্ত পরীক্ষা মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আমরা যে ত্যাগ-তিতীক্ষা স্বীকার করে আসছি তার ফসল ঘরে তোলার সময় এসেছে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো, ভোট কেন্দ্র পাহারা দিব, যাতে করে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। যেখানে বাঁধা আসবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার ফসল ঘরে তুলতে ১ ফেব্রুয়ারি আপনারা সকলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। কাউকে ভয় করবেন না। কোন উস্তানিতে পা দিবেন না। এ দেশটা কারো পারিবারিক সম্পত্তি নয়। এই দেশটার মালিক হলো জনগণ। আমিও আপনাদের সাথে মাঠে থাকবো। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল স্বৈরাচারকে বিদায় করব। গতকাল শনিবার বংশাল থানাধীন রায়সাহেব বাজার মোড়ে সিটি নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভা শেষে রায় সাহেবের মোড় থেকে ৩৬ নং ওয়ার্ডের বাগডাসা লেন সুইপার কলোনী, তাঁতীবাজার, কসাইটুলী হয়ে জিন্দাবাহার জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করেন ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এসময় দোকানপাট ও পথচারিদের হাতে লিফলেট বিতরণ এবং দোকানে দোকানে গিয়ে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইশরাক হোসেন। এসময় বহুতল ভবনের ছাদে, বারান্দা ও ব্যালকনিতে দাড়িয়ে নারী-পুরুষ করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। বিভিন্ন স্থানে নারী ভোটাররা বাড়ির ব্যালকনিতে দাড়িয়ে বৃষ্টির মত ফুলের পাপড়ি ছিটান ধানের শীষের প্রার্থীসহ গনসংযোগ বহরে।
গণসংযোগে অন্যদের মধ্যে লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবু তাহের, তাজ উদ্দিন আহমেদ, ইয়াকুব সরকার, শাহীদা মোরশেদ, যুবদল নেতা শরিফ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
আছরের নামাজ শেষে করে ৩৫ নং ওয়ার্ডে প্রচারণা ও গণসংযোগ করে বংশাল (বড় মসজিদ) জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে সন্ধ্যা সাতটায় ২৭ নং ওয়ার্ডের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে আজকের প্রচারণা শেষ করেন ইশরাক হোসেন।
ইশরাক বলেন, জনগণের কাছে তারা বারবার হার মেনেছে। এবারও হার মানবে। সিটি নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করে জনগণ আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে ইনশাআল্লাহ। পথসভায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ নির্বাচন কমিশনকে আমরা অনেক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন প্রতিকার পাইনি। তবে তারা কি করল, না করল, এগুলো নিয়ে আমি এখন আর মাথা ঘামাচ্ছি না। শুধু তাদের অনুরোধ করতে চাই, সাংবিধানিকভাবে তাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে সেটা সুষ্ঠুভাবে পালন করে জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিবেন।
কোন পারিবারিক প্রভাব পড়বে না নির্বাচনে: এর আগে সকালে গোপিবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করার জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। তিনি বলেন, কোন প্রার্থী বা পরিবারের প্রভাব পড়বে না নির্বাচনে। কারণ, দেশটা কারো পারিবারিক সম্পত্তি না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন,‘আমি যতটুক জানি উনি (তাপস) একজন সজ্জন ব্যক্তি। আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক এবং আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, নির্বাচনে কোন প্রকার ইনফ্লুয়েন্স করবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এরপরে নির্বাচনী ফলাফল যা হবে আমরা তা মেনে নেব। কিন্তু এতে কারচুপি হলে জনগণ কোনভাবেই সেটা মেনে নেব না।’
আপনাদের শারীরিকভাবে বা প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষ বলছেন সঠিক নয়- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইশরাক হোসেন বলেন, আমার পাশে এখনো মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আছেন। উনার নাম আমিনুল ইসলাম উনি ৫৬ ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর এলাকার আমাদের একজন কর্মী। সে শুক্রবার ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। আর কে অস্বীকার করল না করল সেটাতে কিছু যায় আসে না। বাস্তবতাতো থেকেই যায়। তার মত আরো অনেককেই আহত করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের ৪১ নম্বর কাউন্সিলর প্রার্থীকেও ফিজিক্যালি আহত করা হয়েছে। আমি এবিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি । তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। তারপরও বলবেন সঠিক নয়!
দেশটা কারো জমিদারি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরাও কারো কথায় পরোয়া করিনা। উনারা কি বললেন, না বললেন সেটা তো কিছু যায় আসে না। যেটা দৃশ্যমান সেটা আপনারাতো দেখতেছেন। এটা কারো নিজের দেশ না। এটা আমাদেরও দেশ। এখানে কারো জমিদারি চলবে না। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার।
আপনার প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ পরিবারের সস্তান, তার দল ক্ষমতায়, তার ফুফু দেশের প্রধানমন্ত্রী, তিনি কি ফুফুর ক্ষমতার জোরে প্রভাবে জয়ী হবেন কিনা এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমার প্রতিপক্ষ কোন পরিবারের সেটা আমি বড় করে দেখতে চাই না। কারণ এই দল থেকে যারা মনোনয়ন পাবে সবাই তো দলের অবৈধ সুযোগ সুবিধা পাবে। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা তো রাষ্ট্রযন্ত্র দলীয়করণ করেছে। আর কে কোন পরিবারের সেটা আমার দেখার বিষয় না। এই দেশটার মালিক হচ্ছে জনগণ। এ দেশটা কারো পরিবারের সম্পত্তি নয়। আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। জনগণকে সাথে নিয়ে এই স্বৈরাচারকে বিদায় করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।