পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোটের মাঠে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, আওয়ামী লীগ আপ্রাণ চেষ্টা করবে আমাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে। এ জন্য তারা হামলা করবে, মামলা করবে। কিন্তু আমাদের সাহসী মন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। হামলা-মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। ডেঙ্গু ও দুঃশাসন থেকে মুক্তির তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি। এদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাড্ডার লুৎফন টাওয়ারে সামনে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রচারণার ১৫তম দিনে তিনি তিনটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং ইশরাক হোসেনকে নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘সকলকে বলছি সাহসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। উনারা (আওয়ামী লীগ) আপ্রাণ চেষ্টা করবে আমাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে, যখন পারবে না তখন হামলা করবে, মামলা করবে। উনারা (আওয়ামী লীগ) ভোটের মাঠে কোনো দিনই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারবে না। বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, আপনারা দেখেছেন ৫৪টি ওয়ার্ডে আমরা পায়ে হেঁটে প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে পৌঁছেছি, ভোট চেয়েছি, দোয়া চেয়েছি। জনগণের যে সাড়া আমি পেয়েছি, তাতে ধানের শীষের বিজয় কেউ রুখতে পারবে না।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ঢাকাবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকায় বিনা অপরাধে, সড়ক দুর্ঘটনায়, ডেঙ্গুতে যেসব লোক মারা গেছেন, অসুস্থ হয়েছেন, এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। ঢাকাবাসী চান আর কখনোই যেন দুষণের জন্য, ডেঙ্গুর আক্রমণের জন্য, দুর্নীতির জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে, সুন্দর-আধুনিক ঢাকা গড়তে ধানের শীষে ভোট দেয়ার বিকল্প নেই।
এই পথসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষনেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব, বজলুল বাসিত আঞ্জ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় ২১নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এজিএম সামসুল আলম ও ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আয়েশা আক্তার মিলি, পেয়ারা মোস্তাফা ও সালেয়া ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, এই নির্বাচন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। সরকার ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। তারা ভয় পেয়ে গেছে।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্য বলেন, পুলিশ ভাইরা জনগণের বিপক্ষে গিয়ে কাজ করবেন না। আপনারা জনগণের সেবক। নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করুন। তাবিথ আউয়ালকে বিজয়ী করলে মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হবে। তারা নগরীর সেবায় কাজ করবে।
আমির খসরু মাহমুদ চেীধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। নির্বাচন কমিশন যদি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আমলে না নেয়, তাহলে আপনারা নেতা-কর্মীরাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবেন। তিনি বলেন, ভোট চোরদের প্রতিহত করতে হবে। কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
তাবিথ প্রচারণা চালিয়ে বনশ্রী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে উপস্থিতি মুসল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এরপর ২২নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়েজ আহমেদ ফরুকে নিয়ে অলি-গলিতে প্রচার চালান। সেখান থেকে বাসে করে কারওয়ানবাজার পেট্রোবাংলা অফিসের সামনে এসে আবার গণসংযোগ শুরু করেন। এখানে ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুল রহমান মোছাব্বির ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের প্রার্থী রোকেয়া সুলতানা তামান্নাকে নিয়ে খ্রিস্টানপাড়া, তেজতুরিবাজার, ফার্মগেট হলিক্রস কলেজ রোড হয়ে তেজগাঁও রেলস্টেশন রোডের সামনে দিয়ে আবার পেট্রোবাংলা এসে পথসভা করেন।
সেখানে তাবিথ আউয়াল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যাতে এক মুহূর্তও কারাঅন্তরীণ না থাকেন। সে জন্য ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। তিনি বলেন, এখানে চাঁদাবাজি হয়, মাদকের ছড়াছড়ি। এতে তারুণদের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে। এসবে জড়িয়ে রেখে তরুণদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। কারওয়াবাজারে পার্কিং সমস্যা আছে। স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নেই। তাহলে আমরা কীসের উন্নয়নের কথা বলছি। কী উন্নয়ন হয়েছে।
এ সময় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, আবদুল আউয়াল খান, আহসান উদ্দিন খান শিপন, আবদুল হালিম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তাবিথ আউয়ালের মা নাসরিন ফাতেমা আউয়াল দুপুর ৩টায় গুলশান-১ নম্বরের পুলিশ প্লাজা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর ওই এলাকার বিভিন্ন মার্কেট হয়ে গুলশান-২ নম্বরেরও গণসংযোগ করেন তিনি। তার সঙ্গে মহিলা দলের কয়েক শ’ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।