বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুজিবুর রহমান বলেছেন, দেশের জন্য বিদ্যুত প্রয়োজন আছে। তবে নদী,খাল দখল করে এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করা যাবে না। পায়রা-বিষখালী-বলেশ্বর নদীর মোহনা নদী দখল করে নির্মিতব্য পাওয়ার প্লান্ট অবৈধ উল্লখ করে তিনি বলেন,তিনটি নদীর মোহনা যে শুভ সন্ধ্যায় মিলিত হয়েছে পাওয়ার প্লান্টের কার্যক্রম চলমান থাকলে নদীর মোহনাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আগামী প্রজন্মের জন্য নদী-খালকে রক্ষা করার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন,পলিসি মেকারদের চিন্তায় পরিবর্তন আনতে হবে। নদী দখলকারীদের উচ্ছেদ করলে দেশে অস্থিরতা তৈরী হবে না বরং সাধারন মানুষ খুশি হবে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় কুয়াকাটার স্থানীয় একটি হোটেলে একশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী আনর্Íজাতিক পানি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
“লিগালাইজিং রিভার রাইটস-পিপল,পলিটিক্স এন্ড প্রাকটিস” প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড.ইমতিয়াজ আহমেদ। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটস প্রফেসর ও নদী বিশেষজ্ঞ ড,আইনুন নিশাত। সম্মেলনে বক্তারা বলেন,দেশে নদীর কোন স্বীকৃত সমীক্ষা নেই। মোট নদীর সংখ্যা কত তা আগে নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন। যে নদীগুলোর নাব্যতা হরণ করা হয়েছে তা পূনূরুদ্ধারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নদী রক্ষা নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী,পরিবেশবাদী,গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।
মূল নিবন্ধে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ নদী নিয়ে কূটনৈতিক জটিলতা নিরসনের উপর জোড় দেন। তিনি বলেন, নদী জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর এখন সময় এসেছে নদীকে সমস্ত কূটণৈতিক জটিলতা থেকে মুক্ত করার। আর এ জন্য উদ্যোগী হতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে।
ড. আইনুন নিশাত বলেন, নদীকে বাচিয়ে রাখতে হলে, টিকিয়ে রাখতে হলে নদীকে জানতে হবে। নদীর প্রতিটি ধাপ, চরিত্র জানতে হবে। নদীর প্রশস্ততা কমে গেলে অথবা নদী শাসন করা হলে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর তখনই নদীকে আমরা হারিয়ে ফেলতে বসি। নদীর জন্য সাধারণ জনগণকে মুখর হতে, প্রতিবাদ জানাতে আহবান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।