Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার করতে সুপারিশ করব

সংবাদ সম্মেলনে ইয়াংহি লি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে একটি অ্যাডহক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত বলে মনে করেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত অধ্যাপক ইয়াংহি লি। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা স¤প্রদায়ের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য সে ট্রাইব্যুনালে সুপারিশ করা হবে। ওই ট্রাইব্যুনাল কেমন হবে, সে বিষয় মার্চে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে এ প্রস্তাব তিনি তুলে ধরবেন। গতকাল রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়াং হি লি এ কথা বলেন। তিনি ১৭ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন। এরপর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে যান। ঢাকায় একাধিক বৈঠক করেন। বাংলাদেশ ছাড়ার আগে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে করেন।

ইয়াং হি লি বলেন, আমি আমার চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদনে সব সত্য তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করব। আমি কোনো পক্ষপাতিত্ব করব না। আমার প্রতিবেদনে সুপারিশ করব যে সিয়েরালিওন, রুয়ান্ডা এবং বসনিয়া হার্জেগোভিনায় যেভাবে গণহত্যার বিচার হয়েছে, মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও তা হওয়া উচিত। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী এবং সরকারের সহযোগিতায় গণহত্যা চালানো হয়েছে।

ইয়াং হি লি বলেন, আইসিজের বিচার যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে। এর পাশাপাশি এই অ্যাডহক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন দরকার। এটা কীভাবে কাজ করবে, এর ধরন কেমন হবে, তা মার্চের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, গত ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আমি উত্তর রাখাইন সফরে দেখতে পাই, ওখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অমানবিক অত্যাচার হয় এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে আমি বাংলাদেশ সফর করি। যেখানে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ইয়াংহি লি বলেন , জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে আমি অবশ্যই সত্য বলব এবং সবাইকে তা জানাব। আমার ৬ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ, যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার মতো মানবাধিকার পরিস্থিতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভোগান্তির শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছি যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং দেশটির নিরাপত্তা কর্মীরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন এবং হত্যাকান্ড চালিয়েছে।

২০১৭ সালে বৌদ্ধ আধিপত্যের দেশ মিয়ানমারে সামরিক অভিযানে রাখাইন রাজ্যে হাজার হাজার রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ