পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ‘পক্ষপাত দুষ্ট’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারনায় অংশ নিয়ে হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন গেইটের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। এ সময় ইশরাক তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা ১ ফেব্রæয়ারি সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন। আজকে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই সরকারের সকল অপচেষ্টা এই গণজোয়ারে ভেসে যাবে ইনশাল্লাহ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মূল মন্ত্র ছিলো এই বাংলাদেশের মালিক হবে জনগন, ক্ষমতার মালিক হবে জনগন। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু আজকে এই দেশকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ ও পারিবারিকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, একটা জমিদারী প্রথা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি বলে দিতে চাই, আমরা এটা কোনোদিনও মানবো না। আমরা জনগনের সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো।
প্রচার সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাত দুষ্ট হয়েছে। আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের প্রচারনা শুরু হওয়ার পর থেকে ইশরাকের মিছিলে আক্রমণ হয়েছে, তাবিথের মিছিলে আক্রমণ হয়েছে। গত মঙ্গলবার উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথের ওপর শারীরিকভাবে আক্রমন হয়েছে। আমরা নিন্দা জানিয়েছি, প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠুটো জগন্নাথ অযোগ্য নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার আহবান জানাচ্ছি।
ঢাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ১ ফেব্রæয়ারি ঢাকাবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এদিনে ঢাকাবাসী নির্বাচন করবেন তাদের আগামী দিনের নেতাকে, ঢাকাবাসী নির্বাচন করবেন এমন একজনকে যিনি সাহসী হবেন, যিনি সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। সেজন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা উপস্থিত হয়েছি মেয়র প্রার্থী আপনাদের অনেক শ্রদ্বেয় ও প্রিয় নেতা, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেনকে নিয়ে। তার প্রতিটি পদক্ষেপ, তার বক্তব্য আজকে প্রমাণ করেছে যে, সে একমাত্র নেতা ঢাকা সিটি করপোরেশনের নেতৃত্ব দিতে পারে মেয়র হিসেবে। ঢাকাবাসীর প্রতি আমার আহবান থাকবে, নতুন তরুণ সম্ভাবনাময় সম্পূর্ণভাবে একেবারে উদ্দিপ্ত তরুণ ইশরাক হোসেনকে ধানের শীষের ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করবেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে তরান্বিত করবেন।
ফখরুল বলেন, এই সরকার নির্বাচনকে একটা ছেলে খেলা হিসেবে নিয়ে গেছে, আজকে এই সরকার ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা জানে ইভিএম ছাড়া তাদের নির্বাচন করা সম্ভব না। আমরা বার বার ইভিএমের বিরোধিতা করেছি। কিন্তু এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা জানি, জনতার মধ্যে যে জোয়ার উঠেছে, ইশরাক মানুষের মধ্যে যে ভালোবাসা সৃষ্টি করেছে, সেই ভালোবাসার শক্তি দিয়ে, জনগনের শক্তি দিয়ে সমস্ত অপশক্তিকে তারা পরাজিত করবে, এই সরকারের সমস্ত অপকৌশলকে তারা ভেঙে দেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে আমাদের সমর্থিত কাউন্সিলদেরকে উপর হামলা করা হয়েছে। দক্ষিণের একজন কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো, তিন দিন পর ফেরত পাওয়া গেছে। উত্তরে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। অনেক জায়গায় কাউন্সিলরদের প্রচারনা করতে দিচ্ছে না। এই সরকার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। নির্বাচন কমিশনও এখন পর্যন্ত তার নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবার জন্য কোনো প্রমাণ দিতে পারে নাই। তাদের সেই যোগ্যতা নেই বলে আমরা মনে করি।
সিটি নির্বাচনে আপনরা ভোটারদের কাছে কী কী ইস্যু নিয়ে যাচ্ছেন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, সিটি নির্বাচনে আমরা ঢাকা মহানগরীর উন্নয়ন ও সুন্দর করা সেগুলো রয়েছে। সেই সঙ্গে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি-এগুলোই হচ্ছে আমাদের ইস্যু।
বেলা ১২টায় হাইকোর্ট মাজারের কাছে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারনায় শুরু হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব অংশ নেন। তিনি ইশরাকের ধানের শীষের লিফলেট মানুষজনের হাতে হাতে বিতরণ করেন।
এই সময়ে বিএনপির জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, রফিক শিকদারসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।
ভিসির দোয়া নিয়েছেন ইশরাক
সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সাথে দেখা করেছেন ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
সাক্ষাত শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে ইশরাক বলেন, আমি ভিসি স্যারের কাছে দোয়া চাইতে এসেছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। আমার বাবা (সাদেক হোসেন খোকা), আমার মা, আমার বোন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন। সেজন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।
এই সাক্ষাতের সময়ে অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুর রশীদ প্রমুখ শিক্ষকরা ছাড়াও সাবেক ছাত্র নেতা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, কামরুজ্জামান রতন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পরে ইশরাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জ, বাণিজ্য অনুষদসহ আশেপাশের এলাকায় ধানের শীষের প্রচারণা চালান।
ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইশরাক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এখানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে দ্রæত সম্ভব সমাধান করব ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।