বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরি মানিক স্বয়ং নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে এ নোটিস দিয়ে আসেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম নোটিসটি গ্রহণ করেন। নোটিসে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাবিথ আউয়াল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে শামসুদ্দিন চৌধুরি মানিক সাংবাদিকদের বলেন, সিঙ্গাপুরের এমএফএম কোম্পানিতে তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন। তিনজনের মধ্যে একজন হলেন তাবিথ আউয়াল। বাকি দুইজন তার সহোদর, এই তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। সেই কোম্পানির মূল্য ২ মিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে যে লাভ দেখানো হয়েছে, সেটা একটি বড় অঙ্ক। তার চেয়ে বড় কথা এই কোম্পানির তথ্য তাবিথ আউয়াল নির্বাচনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইনে আছে তার এবং তার পরিবারের সব সম্পদের হিসাব দেখাতে হবে। এটি মারাত্মক আইনের খেলাপ। আইনে আছে হলফনামায় যদি তথ্য গোপন করা হয়, তাহলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। সেই অর্থে তাবিথ আউয়াল অযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নথি দেখেছি মাত্র দুইদিন আগে। এই ব্যাপারে তাবিথ আউয়ালকে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি তখন বিষয়টি অস্বীকার করেননি। লিগ্যাল নোটিসে আরো বলা হয়, আমরা এটি একটি লিগ্যাল নোটিস দিযে ইসিকে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম অনেকক্ষণ সময় নিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তাবিথ আউয়াল যদি নির্বাচনে জিতে যান তাহলেও এই অভিযোগের কারণে টিকে থাকতে পারবেন না। তার সিট খালি হয়ে যাবে। আমরা রিট আবেদন করার কথাও ভাবছি। তাই তার প্রার্থিতা বাতিলের অনুরোধ জানাই। যদি প্রার্থিতা বাতিল করা না হয়, তাহলে আমরা হাইকোর্টে যেতে বাধ্য হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।