পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্রবাহিনীকে মাঠে নামাবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর গাবতলীর আনন্দনগর তেলের মিল এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য জানান। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচনে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে ক্যান্টনমেন্টেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রয়োজনে তাদের মুভ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ইসি। সে সময় ঢাকা ও মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং ডেমরায় রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৩ ব্যাটেলিয়ন সেনা। ইসি সচিব বলেন, ঢাকার ভোটে সেনা নামানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনা মাঠে না থাকলেও ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটগ্রহণের সহায়তায় থাকবেন। এক্ষেত্রে তারা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় টেকনিক্যাল টিম হিসেবে সহায়তা করবেন। নিরস্ত্র ৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব থাকে, সে নির্বাচনে তাদের ডাকা হয়। এটি জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে সেনাবাহিনীকে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ইভিএমে যারা কাজ করবে তারা সেনাবাহিনীর ফোর্স না, টেকনিক্যাল লোক। যারা ইভিএমের এক্সপার্ট তাদের শুধু রাখা হবে।
তাবিথের ওপর হামলার তদন্ত করছে ইসি
রাজধানীর গাবতলীর আনন্দনগর তেলের মিল এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, এ ব্যাপারে বিএনপি তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে। কমিশন শুনেছে এবং সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছে।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে ওই এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন তাবিথ আউয়াল, এ সময় পেছন থেকে হঠাৎ করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ইট তাবিথের শরীরে এসে পড়ে। এতে আহত হন তাবিথের কয়েকজন প্রচারকর্মী। বিএনপির এ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের অভিযোগ, ডিএনসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মুজিব সরোয়ার মাসুমের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। ইভিএমে মৃত ভোটার ভোট দিয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখা হবে। বিএনপি অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে মৃত ব্যক্তি, প্রবাসী ও জেলে বন্দি ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন। আলমগীর বলেন, ইভিএমে মৃত ভোটার ভোট দিতে পারে না। অথবা বিদেশে আছেন, উনি কীভাবে ভোট দিলেন? একজন মৃত ভোটার কিংবা বিদেশে থেকে তো ইভিএমে ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য তাদের একটা লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে, তারা দিয়েও গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ইসি দাবি করে আসছে, আঙুলের ছাপ ছাড়া ইভিএমে ভোট দেয়ার সুযোগ নেই।
সচিব বলেন, সেখানে যদি আমরা দেখি যে, প্রকৃতপক্ষেই মৃত এবং তার পক্ষে কেউ ভোট দিয়েছেন, তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে সিস্টেমের কোথাও একটা ডিউ লার্ন। ইভিএম তো দোষ করতে পারে না, তাহলে এই দোষের সঙ্গে জড়িত কারা। আর যদি দেখা যায়, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, উনি জীবিতই আছেন, হাজির হয়ে যদি বলেন আমিই ভোট দিয়েছি। যাই হোক না কেন, সত্য বের করতে হবে। কমিশন বলেছে, এটার সত্যতা তারা বের করবে। তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, যারা এ বিষয়ে দায়ী তাদের বিষয়ে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তবে বিএনপি দাবি জানিয়ে বলেছে, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে বেশি ভোট কারচুপি হয়েছে। তাই এই আসনে পুনঃভোট দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।