পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদ‚ত আর্ল বরার্ট মিলার বলেছেন, আমি ইসির কাছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে চেয়েছি।
ইভিএম নিয়ে কর্মকর্তারা আমাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। ইভিএম সম্পর্কে বেশ কিছু শিখেছি। আশা করি সিটি নির্বাচনের আগে ইসি ভোটারদেরও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন। তাহলেই উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদ‚ত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, দয়া করে ভোটে অংশ নিন। হয়তো কিছু সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে কাজ করে না। কখনও কখনও নির্বাচন প্রক্রিয়া ত্রুটিপ‚র্ণ (ইমপারফেক্ট), গোলযোগপ‚র্ণ (নয়সি) হয়, কিন্তু জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক থাকবে। যিনি যোগ্য, তিনিই হয়তো ঢাকার নেতৃত্বে আসবেন। নির্বাচনের সময় আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক থাকবেন। আমাদের দেশের মানুষ জানতে চায়, বাংলাদেশে কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, আজ ‘মার্টিন লুথার কিং ডে’ যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির দিন। গণতন্ত্রে ক্ষমতা এবং যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মার্টিন লুথারের থেকে ভালো কেউ জানেন না। আর এ কারণেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আমি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে চেয়েছি। এ বিষয়ে (ইভিএম নিয়ে) বেশ কিছু শিখেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করি যে এটি অংশগ্রহণম‚লক হবে। যারা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, যারা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চায় বা যারা প্রার্থী, তাদের সে অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে বলে আশা করি।
ইভিএম নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদ‚ত বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাকে ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যাখ্যা করেছে। এটি তারা ভোটারদের কাছেও ব্যাখ্যা করেছে। কিন্তু গুরুত্বপ‚র্ণ বিষয় হচ্ছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। তারা যে প্রার্থীকেই ভোট দেন না কেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, এটি বেশ আশাব্যাঞ্জক যে রাজনৈতিক দলের পক্ষগুলো তারা একে অপরকে যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। ফলে যেই জয় পাক না কেন, তিনিই পরবর্তী ঢাকার নেতা হবে। ঢাকার অধিবাসী হিসেবে এটি বেশ আশাব্যঞ্জক, যা আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শুনেছি। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।