পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার বাবা নেই। আপনারাই আমার অভিভাবক। আপনারাই আমার বাবা-মা। আপনারা আমাকে দেখে রাখবেন। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন ইনশাল্লাহ কোনো বাধা-বিপত্তিকে ভয় করব না। আমি আল্লাহ ছাড়া কোন মানব সন্তানকে ভয় করি না। প্রয়োজনে রক্ত দিব, জীবন দিব; তারপরও আপনাদের অধিকার আদায়ের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাজ করে যাব। গতকাল (সোমবার) নির্বাচনের প্রচারণার মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দিনের প্রচারণার শুরুতে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে ‘বয়স’ নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমালোচনার জবাবে ইশরাক বলেন, ’৭১ সালে ছাত্র সমাজ বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছিলেন। সেই তরুণ সমাজই আগামীদিনে বাংলাদেশকে তার সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দিতে সক্ষম। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আমার সঙ্গে থাকুন; ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দিন। আমরাও দেখিয়ে দিব তরুণরা পারে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রসমাজের অগ্রণী ভূমিকার কারণে নয় মাসে দেশ স্বাধীনতা হয়েছিল। জাতির যে কোন ক্রান্তিলগ্নে তরুণরাই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। তাই যারা তরুণদের বয়স নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তাদের দেখিয়ে দিতে চাই আমরা তরুণরাই পারি। আপনারা আমার প্রতি আস্থা রাখুন। আমি উন্নত, আধুনিক ও মানবিক ঢাকা শহর উপহার দিব। পথসভায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, আবদুস সালাম, হাবিব-উন নবী খান সোহেল বক্তব্য রাখেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ইশরাক হোসেন সাবেক সফল মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সন্তান। আমি নিজে ঢাকার মেয়র ছিলাম, সাদেক হোসেন খোকাও ঢাকার মেয়র ছিলেন। তখন ঢাকার এই পরিণতি ছিল না। ঢাকা ছিল একটি গোছালো শহর। তিনি নগরবাসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইশরাক একজন যোগ্য প্রার্থী। আপনারা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। সিটি কর্পোরেশন পরিচালনায় আমার ও সাদেক হোসেন খোকার যে অভিজ্ঞতা তার সমন্বয় করে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন একটি সুন্দর, বাসযোগ্য ঢাকা শহর গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
গণসংযোগে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, কাজী আবুল বাশার, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মোর্তাজুল করিম বাদরু, রফিকুল আলম মজনু, গোলাম মাওলা শাহিন, মীর শরাফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, শহিদুল ইসলাম বাবুল ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ইশরাক বলেন, ঢাকা শহরকে একটি অবাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও এর পরিবর্তন করতে পারেনি। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়। ১ ফেব্রুয়ারি ভোট প্রদানের মাধ্যমে আপনারাই পারেন সেই পরিবর্তন আনতে।
এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে গণসংযোগ শুরু করেন ইশরাক হোসেন। এরপর সেগুন বাগিচা, রাজমণি সিনেমা হল, শান্তিনগর, বেইলি রোড, মালিবাগ মোড়, শান্তিনগর, ইস্টার্ন প্লাস মার্কেট, নয়াপল্টন, কালভার্ট রোড, ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্কি, টিএনটি কলোনি, এজিবি কলোনি হয়ে আল হেলাল জোনে মাগরিবের নামাজের বিরতি দেয়া হয়।
ইশরাক বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আর নয় বছর ধরে সিটি করপোরেশনে তাদের মেয়র। কিন্তু সিটি করপোরেশনে কোন উন্নতি আমরা দেখতে পাইনি। তারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। আগামীতেও তারা কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। তাদের অবহেলা আর দুর্নীতির কারণে রাজধানী ঢাকা শহর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বিষাক্ত ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সাথে আমাদের শরিরে প্রবেশ করছে। সার্বিক অবস্থা দেখলে মনে হয় যুদ্ধবিদ্ধস্ত শহর ঢাকা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মানুষ পরিবর্তন চায়।
নগরবাসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পরিবর্তনের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ। বাসবাসের অযোগ্য যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই শহরকে আমরা পুনরায় নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন পরিবর্তনের জন্য, এ শহরকে বাঁচানোর জন্য। দলবেঁধে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমরা পরিবর্তন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, আর জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিব।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।