পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনে যা কিছুই হোক, যত গালিগালাজ ও সমালোচনা পাঁচ নির্বাচন কমিশনারের ওপর বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন এমন একটা জিনিস যে, পত্র-পত্রিকা দেখলে মনে হবে, সব শুধুমাত্র পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার করেন। তাই মানুষের পক্ষ থেকে যত গালিগালাজ, সমালোচনা আছে, সবকিছু এই পাঁচজন ব্যক্তির ওপর।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বৈঠক বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে নির্দেশনামূলক মন্তব্য করার সময় তিনি এসব কথা বলেন। ইসির পাঁচ কমিশনার হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম।
রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করার পর থেকে আসল দায়িত্বটা পালন করেন আপনারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী)। আচরণবিধি বাস্তবায়নের কাজটাও আপনারাই করেন। আপনাদের ব্যর্থতাই আমাদের ব্যর্থতা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরা আচরণ বিধিমালাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের দিকটা বাস্তবায়ন করেন। আপনাদের ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে আমাদের ওপর দিয়ে যায়। কমিশনকেই অভিযুক্ত করা হয়। আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, আচরণ বিধিমালা প্রয়োগ করার জন্য শাস্তি, জরিমানা করার চাইতে প্রিভেন্টিভ মেজারটা (প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা) নেন। অর্থাৎ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা যদি একটু এক সঙ্গে মুভ (চলেন) করেন, তাইলেই আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়টি থাকবে না বলেও মনে করেন এ কমিশনার।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এতে নির্বাচনে আচরণবিধির ভঙ্গের পরিমাণ অনেকখানি কমে যাবে। শুধু এ জন্য আপনাদের কাছে চাই আন্তরিকতা, আপনাদের ভিজিল্যান্স (দৃশ্যমান)। দেখতেছে কেউ একজন, এই বিষয়টা প্রার্থীদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারলে অনেক সমস্যা কমে যাবে। অবস্থান দৃশ্যমান করতে পারলে ৫০ শতাংশ আচরণবিধি প্রতিপালনের কাজ হয়ে যাবে। তারপরও কিছু লোক আচরণবিধি ভঙ্গ করবে। আর তাদেরকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা দিয়েই শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
কমিশনার বলেন, আমরা যখন আইন করি, তখন একটা আদর্শ, পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আইনের খসড়া তৈরি করি। কিন্তু বাংলাদেশের সব জায়গায় সবসময় আইনের পরিবেশ থাকবে, এটা আপনারা বিশ্বাস করেন? আমি বিশ্বাস করি, আইনের সিচুয়েশন (পরিবেশ) সব জায়গায় সমান পাওয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল মাইন্ড (বিচারিক মানসিকতা) প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।