Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মধুমাসের আগমনী বার্তা

লালপুরে আম বাগানে

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

মধুমাস জ্যৈষ্ঠের আগমনী বার্তা নিয়ে মাঘের কনকনে শীতে নির্ধাররিত সময়ের এক মাস আগেই নাটোরের লালপুর উপজেলার আম গাছগুলিতে দেখা মিলেছে আগাম মুকুল।
ঋতু পরিক্রমায় সময় না হলেও আমের হলুদ মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধই জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। দুই দফা বৃষ্টি পরে নতুন করে শীত জেঁকে বসলেও আবহাওয়াগত কারনে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই গাছগুলিতে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
মাঘের প্রথমে আগাম মুকুলের দেখা দেয়ায় আমচাষিদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘন কুয়াশা হলে এই সকল আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও নাটোর জেলাও এখন কোনো অংশে কম নয়।
লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর এই উপজেলায় ১ হাজার ৭ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান ছিলো। এই সকল জমি থেকে ২৬ হাজার ৯শ ৮০ মেট্টিকটন আম উৎপাদন হয়ে ছিলো। চলতি বছরে বাগানের পরিমাণ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর প্রায় ৩০ হাজার মেট্টিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানকার চাষকৃত উল্লেখযোগ্য জাতের আম হলো, ফজলি, নেংড়া, খেরসাপতি, গোপালভোগ, আম্রপালি, লকনা অন্যতম।
সরেজমিনে গতকাল লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে দেখা গেছে বাড়ির আঙিনায় ও বাগানের কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। গাছে আগাম মুকুল আসায় বাগান মালিকরা পরিচর্যার কাজ শুরু করেছেন।
এসময় কথা হয় আমচাষি তফিজ উদ্দিনের সঙ্গে, তিনি ইনকিলাবকে জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই এখানকার আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আমচাষি মোস্তফা কাউছার বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের প্রথমেই এখানকার অনেক গাছেই মুকুল এসেছে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে বলে তিনি জানান।’
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ‘প্রায় একমাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি মাসের শেষে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে দিনি জানান।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ