প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ শহুরে মানুষের বাড়িতে নিত্য দিনের সাংসারিক কাজে ব্যবহার হতো মাটির তৈরি পণ্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারাতে বসেছে মাটির তৈরি পণ্যের ব্যবহার। মাটির তৈরি জিনিসপত্রের বিকল্প হিসেবে এ যুগের মানুষ ব্যবহার করছে প্লাস্টিক ও মেলামাইন। সহজলভ্য হওয়ায় মাটির তৈরি পণ্যের ব্যবহার ভুলে মানুষ প্লাস্টিক ও মেলামাইনের পণ্য ব্যবহার করছেন। তবে আধুনিক যুগে থেকেও কিছু সংখ্যক মানুষ এখনো মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার ভুলে যাননি। মৃৎ শিল্পীরা তাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া মাটির কাজ করে এখনো টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মাটির তৈরি পণ্যের ক্রেতা এবং সঠিক মূল্যায়ন না থাকায় ধীরে ধীরে মৃৎ শিল্পীরা অন্য পেশায় ঝুঁকতে শুরু করেছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করতে দেখা যায়। তবে রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দ্দন পালপাড়া ও বাসাইল ইউনিয়নের দিঘীরপাড় কুমারবাড়িতে সবচেয়ে বেশি মৃৎশিল্পীদের দেখা যায়।
মৃত শিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাটির তৈরি পণ্য বানাতে মাটি কিনে প্রথমে মাটিগুলো এক জায়গায় স্তুপ বানিয়ে রেখে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে নিয়ে এসে পা দিয়ে পিশে পাতিল বানানোর উপযোগী করা হয়। এরপর নাতাই করে পাতিলের মুখের অংশের রূপ দেয়া হয়। পরে ওই নাতানো পাতিলটাকে কৌশল অনুযায়ী পিটিয়ে দই বা অন্যান্য পাতিলে রূপান্তরিত করা হয়। মৃৎ শিল্পীরা ট্রলার চুক্তি করে মাটি ভরা অনুসারে কিনে থাকেন। বড় এক ট্রলার মাটির দাম ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ছোট ট্রলার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় কেনেন তারা।
চোরমর্দ্দন (পালপাড়া) গ্রামের শ্রীদাম পালের ছেলে মাধব পাল বলেন, এখন ১ থেকে ৫ কেজির দইয়ের পাতিল ছাড়া অন্য পাতিল চলে না। বাসাইল ইউনিয়নে কিছুটা ভিন্ন আইটেম বানানো হয়। তবে আমাদের বাপ-দাদারা ভাতের পাতিলসহ অনান্য ডেকপাতিলা বানাতো। ২৫ থেকে ৩০ বছর আগেও এখান থেকে রিকাবী বাজার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজারে পাইকাররা কিনে নিয়ে এ পাতিলা সংরক্ষণ করে বিভিন্ন হাট বাজারসহ মিষ্টির দোকানে বিক্রি করতো। এখন যে যুগ মাটির পাতিল ব্যবহার করার ধৈর্য্য গৃহিনীদের নেই। আড়াই কেজি চাল চড়ানোর পাতিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া গেলেও ভেঙে যাওয়ার ভয়ে কিনতে চায় না। ৩০ থেকে ৪০টা পরিবার আমরা এখন মাটির জিনিসপত্র বানাচ্ছি।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, প্লাস্টিক বা মেলামাইনের পাত্রে কিছু গরম করা হলে সেখানে এক ধরনের ক্যান্সারের উপাদান বের হয়। আর সেটার কারণে ক্যান্সার হতে পারে। প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করি সেটার মধ্যে কোন ভয় নাই। মাটির জিনিস যদি ভালোভাবে তৈরি করে ব্যবহার করা হয় তবে সেটা সবসয় ভালো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।