বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে প্রতিদিন ২০-২৫ টনের অধিক পাথরবোঝাই শত শত ট্রাক পারাপারের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ঐতিহাসিক সোনাহাট রেলসেতু। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট, বলদিয়া, চরভুরুঙ্গামারী, কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাষ ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের সঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলার যোগাযোগ রক্ষায় দুধকুমর নদের উপর সোনাহাট রেলসেতু একমাত্র যোগাযোগের পথ। যান বাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। ১৮৭৯ সালে সালে তৎকালীন নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে বেঙ্গল ও আসামের সাথে যোগাযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাইকেরছড়া ইউনিয়নে দুধকুমর নদের উপর সোনাহাট নামে রেলসেতু নির্মান করে। ভারত ও পাকিস্থান বিভক্তির পর সেতুটি অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী যাতে নদী পাড় হতে না পারে সেজন্য সেতুর ২ টি ¯িøপার পাট ভারতীয় সেনারা ডিনামাইন দিয়ে উড়িয়ে দেয়। জাতীয় পার্টির আমলে কুড়িগ্রাম-১ আসনের সাবেক এমপি আ, খ, ম শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক কুড়িগ্রাম জেলা গভর্নর শামসুল হক চৌধুরীর ঐকান্তিক চেষ্টায় স্টিলের ¯িøপার দ্বারা সোনাহাট রেলসেতুটি মেরামত করে জনসাধারনের যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া হয়। সোনাহাট রেলসেতু নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেতুটির আয়ুষ্কাল ১০০ বছর বেঁধে দেয়া হয় যা ইতিমধ্যে সেতুটির মেয়াদত্তীর্ণ হয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে সেতুটির সংযোগ সড়ক ভাঙ্গায় সেতুটি হুমকির মুখে পড়ায় বর্তমানে কুড়িগ্রাম-১ আসনের এমপি এ, কে, এম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক কর্তৃক নদীবাঁধ দিয়ে সেতুটি রক্ষা পায়। সড়ক ও জনপদ কর্তৃক সোনাহাট রেলসেতুটিকে ঝুকিপুর্ন চিহ্নিত করে ৩ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা সত্বেও সোনাহাট স্থল বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ২০ থেকে ২৫ টন পাথর নিয়ে সেতু পারাপার হওয়ায় সেতুটির বিভিন্ন অংশ দেবে গেছে এবং ও ফাটল দেখা দিয়েছে। একই সাথে একাধিক ট্রাক পারাপারের সময় বিকট শব্দ ও কাপুনিতে জীবনের ঝুকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে পথচারী ও হাল্কা যানবাহন চালকদের। ঐতিহাসিক সোনাহাট রেলসেতুটি রক্ষার জন্য ইতিপুর্বে কয়েকদফা মানব বন্ধন করেও সুফল পায়নি এলাকাবাসী। যেকোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত বোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সুধী মহল। এ ব্যাপারে পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন সরকার জানান, সড়ক বিভাগ ৩ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড লাগিয়েই দায়িত্ব শেষ। বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রনে নেই কোন সরকারী ব্যবস্থা। সেতুটি রক্ষার জন্য সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।