পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং আতিকুল ইসলাম। সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন।
গতকাল রাজধানীর, শ্যামপুর, পোস্তগোলা ও মীরহাজিরবাগ এলাকায় ষষ্ঠ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী তাপস। আর রাজধানীর হলিক্রস স্কুল, ছাপড়া মসজিদ, লুকাস রেলগেট, নাবিস্কো, কুনিপাড়া বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়েছেন আতিকুল ইসলাম।
৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেছি। আসলে আমি দুঃখিত, এ বিষয়টি কেন বা কীভাবে হয়েছে। এটা আগে থেকে নির্ধারণ করা হয়নি। আমি যতদূর জেনেছি, ইলেকশন কমিশন আলোচনা করেছিল। পঞ্জিকা অনুযায়ী এটা হয়তো ভুল হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত এ মেয়রপ্রার্থী বলেন, তাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) প্রতি আমার সমবেদনা ও সহমর্মিতা রয়েছে। তবে যেহেতু নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ রয়েছে, প্রার্থী হিসেবে আমাদের গণসংযোগ চালিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করবো, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাপস আরও বলেন, আমরা যে উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি তা ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকাবাসী বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে। দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকে ঢাকার উন্নয়নে কাজ করবো এবং একটি উন্নত ঢাকা উপহার দেব। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলন, কোনো ধরনের আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নজর রাখছে। তবে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে গেছে। এ কারণে জনগণের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। আমরা বিষয়টি আরও সচেতনভাবে দেখবো। বর্তমানে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তাপস বলেন, গত পাঁচদিন ধরে আমরা যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি তাতে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের ঢাকার উন্নয়নের দেওযয়া পাঁচ দফা উন্নয়ন পরিকল্পনা জনগণ সাদরে গ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি আগামী ৩০ তারিখে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে। দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমরা কাজ শুরু করবো একটি উন্নত ঢাকা গড়তে। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ স্থানীয় দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী শ্যামপুর ও কদমতলী থানায় ব্যারিস্টার তাপস নির্বাচনী প্রচারণা চালান তাপস।
পরিবহন ব্যবস্থা পরিবর্তনের স্বপ্ন আতিকুলের
বহুল আলোচিত ঢাকার বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে একটি সমন্বিত নিয়মের মধ্যে আনতে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের দেখানো পথে হাঁটতে চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে যানজট নিরসনের জন্য বাস প্রকল্প হাতে নেব, যেটা প্রয়াত মেয়র আনিস ভাইয়ের (আনিসুল হক) স্বপ্ন ছিল। বাস মালিকদের সাথে বসে সমন্বয় করে একটি সুন্দর ব্যবস্থা করব, যাতে করে যানজট নিরসন হয়। বাস রুট রেশনালাইজেশনের কাজ করতে চাই। এ সময় মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবেন বলেও জানান আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী।
নির্বাচিত হলে কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন, সেই বিষয়গুলো ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়ন চলবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কাজ করব। শহরে কোনো অবস্থাতে যেন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আশা করছি, পর্যাক্রমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারব।
তিনি বলেন, আমাদের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডেঙ্গু মেকাবিলা করা। আমরা তা মোকাবিলা করার জন্য সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে অনেক কিন্তু আপনাদের নিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর ঢাকা শহর গড়ে তুলব। মেয়র নির্বাচিত হলে গত নয় মাসে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, এই কঠোর অনুশীলনের ইফেক্ট আগামীতে সুন্দরভাবে প্রয়োগ করতে পারব, যদি আপনারা আমাকে নৌকা মার্কায় নির্বাচিত করেন। নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকার গিয়ার শুধু উন্নয়নের গিয়ার।
এ সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চান। আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অঙ্গণের শিল্পীরাও প্রচারণা চালান। এতে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, চিত্রনায়ক রিয়াজ, চিত্রনায়িকা বাধন প্রমুখ লিফলেট বিতরণ করে নৌকার জন্য ভোট চান। এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।