ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। সেই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামি ৯ ফেব্রুয়ারি। গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন। এ দিন মামলার দায় থেকে ইশরাকের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি করেন। বিচারক উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ শেষে ইশরাকের পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ মে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার তারিখ ধার্য ছিল গতকাল। ওইদিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন। পরে ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে ঢাকার মরহুম সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেনের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিস দেয় দুদক। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিসটি জারি করতে তাদের বাসভবনে যান। কিন্তু ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় উপস্থিত চার সাক্ষীর সামনে বাসভবনের নিচ তলায় প্রবেশপথের বাম পাশের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিসটি জারি করেন দুদকের কনস্টেবল। দুদক নির্ধূারিত ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইশরাক হোসেন সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি। ওই ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।

প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। আগামি ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ রয়েছে।