সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্ব›েদ্ব মারামারির উদ্দেশে স্কুল ব্যাগে ছুরি, চাপাতি, লোহার পাইপ নিয়ে বিদ্যালয়ের ক্লাসে প্রবেশের অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ নবম ও দশম শ্রেণির ৫ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও উপজেলার নলচিড়া গ্রামের মো. আতাহার আলী জমাদ্দারের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন ও একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের মো. শাহ আলম সেপাইয়ের ছেলে নাঈম সেপাইয়ের মধ্যে সিনিয়র, জুনিয়র নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর দ্বন্দ হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ওই দুই শিক্ষার্থীর সমর্থক একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. রাসেল হাওলাদার, এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান জিয়া, দশম শ্রেণির ছাত্র হামীম মৃধা মারামারির উদ্দেশে তাদের স্কুলব্যাগে ভরে ছুরি, চাপাতি, লোহার পাইপ নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম জানান, ঘটনা টের পেয়ে সকাল ১০টার পরপরই আমি ও অন্য শিক্ষকরা ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ তল্লাশি চালাই। এ সময় নবম শ্রেণির ছাত্র মো. রাসেল হাওলাদারের স্কুলব্যাগ থেকে একটি ছুরি, এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান জিয়ার ব্যাগ থেকে একটি লোহার পাইপ, দশম শ্রেণির ছাত্র হামীম মৃধার ব্যাগ থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করি।

এরপর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নলচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম হাফিজ মৃধাকে ঘটনা জানাই। ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসি। অপরদিকে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তারা ষড়যন্ত্রের শিকার, তাদেরকে ফাঁসিয়ে বহিষ্কার করাতে তৃতীয় পক্ষের কেউ তাদের স্কুলব্যাগে এসব অস্ত্র ঢুকিয়ে রেখে শিক্ষকদের খবর দিয়ে তা উদ্ধার করিয়েছে।

বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদের অভিযোগকে অবান্তর উল্লেখ করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. গোলাম হাফিজ মৃধা বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আমাদেরকে এ কঠিন পদক্ষেপটি নিতে হয়েছে।