Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইন্দুরকানীতে যুবলীগ নেতা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৪১ পিএম

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে মাদ্রাসায় ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম কলারন আজাহার আলী দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর ধরে এই মাদ্রাসাটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান। গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদের উপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মিজান। শিক্ষকদেরকে হুমকি দিতে থাকেন। মিজানের ভয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান মঙ্গলবার মাদ্রাসাটি বন্ধ রাখেন। বুধবার ১২ টার দিকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে এসে মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সালামের কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজগপত্র দেখতে চান মিজান।এসময় কাগজপত্র দেখতে দেখতে সব গুছিয়ে নিয়ে দৌড়ে বের হয়ে যায় মিজান। এসময় সুপার আব্দুস সালাম তার পিছু নিতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এবং লোকজন নিয়ে ফিরে এসে হামলা চালায়। মাদ্রাসা ভবনে সবাইকে অবরুদ্ধ করে শ্রেণি ও অফিস কক্ষে ভাংচুর করেন মিজান ও তার লোকজন। এসময় মিজানের হাতে বড় একটি দাও ছিল বলে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম।

এ বিষয়ে উত্তর পশ্চিম কলারন আজাহার আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ আব্দুস সালাম জানান, বেশ কিছু লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় আসে হামলা চালান এই যুবলীগ নেতা। এসময় মাদ্রাসার বেশ কয়েকটি শ্রেণি কক্ষের আসবাবপত্র পিটিয়ে ও কুপিয়ে ভাংচুর করেন মিজান ও তাঁর লোকজন। এমনকি মাদ্রাসার অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র লুটে নেন তিনি। সেখানেও ভাংচুর করেন তাঁরা। এসময় শিক্ষকদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জানান, আমার নেতৃত্বে মাদ্রাসায় কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। উল্টো মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির খোকা, সামসু হাওলাদার, বাদল নামের কিছু লোক আমার ছেলে ও মায়ের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছে। বর্তমানেও আমি এ মাদ্রাসার সভাপতি। বুধবার সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে একজন শিক্ষককে অনুপস্থিত দেখে সুপারকে। ওই শিক্ষককে অনুপস্থি দেখাতে বলি হাজিরা খাতায়। এসময় মাদ্রাসার কয়েক জন লোক এসে আমি কেন মাদ্রাসায় এসেছি তাই জানতে চায়। তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমাকে হুমকি দিতে থাকে। এ খবর জানতে পেরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধারের জন্য মাদ্রাসায় আসলে আমার মা ও আমার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ