রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট পদে রাজধানীর কুর্মিটোলায় দায়িত্বরত জাফরিল শেখের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর মারধর ও যৌতুক দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। পাষ- স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার থানা ও পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন। নির্যাতিত কামরুন্নাহার তার পরিবার ও দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২০০৩ সালের ৩০ নভেম্বর জাফরিল শেখের সাথে মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর উভয়ে জাফরিলের শ^শুর বাড়িতে অবস্থান করে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই জাফরিল প্রায়ই স্ত্রী কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক অথবা একটি ফ্লাট দাবি করে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। তবে ২০১১ সালের দিকে জাফরিল কামরুন্নাহারকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। তাদের জুবায়ের আহম্মেদ নামে ১১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এর কিছুদিন পর শ^শুর বাড়ি ও স্ত্রীর ডেভেলপার ব্যবসায়ী ভাইদের সম্পদের দিকে জাফরিলের লোভ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জমি বিক্রি করে টাকা আনতে স্ত্রী কামরুন্নাহারকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। ২০ লক্ষ টাকা অথবা ফ্লাট না এনে দিলে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। গত ২০১৪ সালে ১৮ জুন জাফরিল শেখ ও তার ভাই শিহাব শেখ মিলে চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়ে কামরুন্নাহার। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সুস্থ হয়ে কামরুন্নাহার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ১১ (গ)/৩০ ধারায় রূপনগর থানায় জাফরিল শেখকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া কামরুন্নাহার তার স্বামীর বিরুদ্ধে দেনমোহর ও সন্তানের ভরণ-পোষণ ও খোরপোষ দাবি করে ঢাকা-১২ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। এ মোকদ্দমাটিও বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও নির্যাতিতা কামরুন্নাহার তার সার্জেন্ট স্বামীর কর্মস্থল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশাসনিক শাখার পরিচালক প্রভোস্ট ও নিরাপত্তা স্কোড্রন বরাবর সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে জাফরিল শেখের মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।